1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মশা মারতে আর কামান দাগার প্রয়োজন নেই

১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১১

মশার হাত থেকে বাঁচার অনেক উপায় আছে৷ নোংরা জলাশয় পরিষ্কার আর কীটনাশকের ব্যবহার গরীব দেশগুলোতে বেশ জনপ্রিয়৷ কিন্তু তারপরও রেহাই হচ্ছে না সেসব দেশের মানুষের৷ এরই মধ্যে আরেকটা পন্থা নিয়ে হাজির হয়েছেন জিন বিজ্ঞানীরা৷

https://p.dw.com/p/10KLA
ফাইল ফটো

ম্যালেরিয়া আর ডেঙ্গুর অত্যাচারে অতিষ্ঠ গরীব দেশের মানুষ৷ বিশেষ করে শিশুরা৷ প্রতিবছর শুধু সাব-সাহারা আফ্রিকা অঞ্চলেই ১০ লক্ষেরও বেশি শিশু মারা যাচ্ছে ম্যালেরিয়ায়৷

এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে নতুন একটা উপায়ের কথা জানালেন জিন বিজ্ঞানীরা৷ তারা এর নাম দিয়েছেন ‘সিমেলে'৷ গ্রীক পুরাণে সিমেলে নামে এক নারীর কথা শোনা যায়, যার নামে রাখা হয়েছে নামটি৷

পদ্ধতিটি এরকম – একটি পুরুষ মশার জিনে বিষাক্ত পদার্থ ঢুকিয়ে দেয়া হবে৷ শুক্রাণুর মাধ্যমে সেটা চলে যাবে নারী মশার দেহে৷ ফলে সেই নারী মশা ডিম পাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে৷ তবে নারী মশার দেহেও আগে থেকেই বিষ প্রতিরোধক একটি জিন ঢুকিয়ে রাখা হবে৷ ফলে তার মারা যাওয়ার আশঙ্কা থাকবে না৷

এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন ড. জন মার্শাল৷ তিনি লন্ডনের ইম্পেরিয়াল কলেজের গবেষক৷ তিনি বলেন, তাদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি কীটনাশকের বিকল্প হিসেবে কাজ করবে, সে দাবি তিনি করছেন না৷ বরং বিকল্প উপায় হিসেবে একে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে মনে করেন মার্শাল৷

তিনি বলেন, যদি মশা নিধনের জন্য আগে থেকেই প্রচলিত থাকা উপায়গুলোর সঙ্গে তাদের পন্থাও কাজে লাগানো যায় তাহলে ম্যালেরিয়ার বিরুদ্ধে একটা শক্ত প্রতিরোধ গড়ে তোলা সম্ভব হবে৷

‘জেনেটিক্স' জার্নালের চলতি সংখ্যায় গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে৷

ম্যালেরিয়া নিয়ে জিন বিজ্ঞানীরা অবশ্য এর আগেও কাজ করেছেন৷ যেমন ব্রিটেনের বিজ্ঞানীরা জেনেটিক্যালি মডিফাইড বা জিএম মশা সৃষ্টি করেছেন৷ এর ফলে কোনো পুরুষ জিএম মশার সঙ্গে মিলনের পর স্ত্রী মশা ডিম পাড়ার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে৷

পরীক্ষাগারে এই বিষয়ে সাফল্য লাভের পর গত বছর একটি দ্বীপে কয়েক লাখ জিএম মশা ছাড়েন বিজ্ঞানীরা৷ পরে দেখা যায়, ঐ দ্বীপে মশার সংখ্যা আগের চেয়ে ৮০ শতাংশ কমে গেছে৷ এ বছরই বিশ্বের আরো পাঁচটি দেশে এ ধরনের পরীক্ষা চালানোর কথা৷

প্রতিবেদন: জাহিদুল হক

সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন