1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

কুর্দিদের নিয়ন্ত্রণে মসুল বাঁধ

১৮ আগস্ট ২০১৪

ইরাকের মসুলে বিমান হামলা বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র৷ এই অভিযানের সহায়তায় রবিবার ইসলামিক স্টেট (আইএস) জঙ্গিদের হটিয়ে মসুলে ইরাকের সবচেয়ে বড় বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় কুর্দি যোদ্ধারা৷

https://p.dw.com/p/1CwHJ
kurdischer Peschmerga-Kämpfer
ছবি: picture alliance/AP Photo

যুক্তরাষ্ট্রের জঙ্গি বিমানের সহায়তা নিয়ে কুর্দি যোদ্ধারা মসুল বাঁধে এই অভিযান চালায়৷ সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, কুর্দি যোদ্ধারা এখন ওই বাঁধ এলাকা থেকে মাইন ও ফাঁদ (বু্বি ট্র্যাপ) সরানোর চেষ্টা করছেন৷ ইরাকের উত্তরাঞ্চলে কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই বাঁধটি গত ৭ আগস্ট থেকে দখল করে রেখেছিল আইএস৷ এই বাঁধ থেকেই ইরাকের উত্তরাঞ্চলে বিদ্যুৎ আর পানি সরবরাহ করা হয়৷

হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা রবিবার কংগ্রেসে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন৷ চিঠির মূল বক্তব্য ইরাক পরিস্থিতি৷ তিনি চিঠিতে বলার চেষ্টা করেছেন ইরাকের অভিযানের বিস্তৃতি কমিয়ে আনা উচিত৷ কংগ্রেসে পাঠানো ঐ চিঠিতে বলা হয়েছে, ‘‘ইরাকে অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের রক্ষার ব্যাপারটিকেই বেশি জোর দিচ্ছে মার্কিন সেনাবাহিনী৷ মসুল বাঁধের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার ফলে সেখানকার বেসামরিক নাগরিক এবং মার্কিন সেনাদের উপর বড় ধরনের হামলার আশঙ্কা রয়েছে৷ এছাড়া ইরাকে মার্কিন দূতাবাসেও হামলা করতে পারে আইএস৷'' চিঠিতে আরো বলা হয়, কংগ্রেসকে এ বিষয়গুলো অবহিত করা জরুরি তাই বিস্তারিত জানানো হলো৷

হোয়াইট হাউজ মুখপাত্র কেইটলিন হেইডেন বলেছেন, ‘‘ইরাক সরকারের অনুরোধেই ঐ অভিযান চালানো হয়েছে৷''

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন আইএস যোদ্ধাদের ব্রিটিনের জন্য বড় হুমকি বলে উল্লেখ করেছেন৷ তাদের রুখে দেয়ার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি৷ রবিবার টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রবন্ধে তিনি বলেন, ‘‘ইরাকে হয়ত সেনা পাঠানো ঠিক হবে না৷ তবে ইউরোপের বিভিন্ন শহরে আইএস যাতে ত্রাস ছড়াতে না পারে সেজন্য কিছুটা হলেও সামরিক অভিযান চালানো যেতে পারে৷''

ইরাক ও সিরিয়ার বড় একটি এলাকার দখল নিয়ে সেখানে ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিয়েছে ‘ইসলামিক স্টেট' জঙ্গিরা৷ গত জুনে ইরাকের মসুল এলাকার দখল নেয়ার পর থেকে হাজার হাজার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের তারা পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে৷ উত্তর ইরাকে আইএস জঙ্গিদের হামলার মুখে ইয়াজিদি ও খ্রিস্টানরা পালিয়ে উত্তরের পবর্তমালায় আশ্রয় নিয়েছে৷

ইরাকের প্রধান কুর্দি দলের এক মুখপাত্র আলী আওয়ানী সংবাদ সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘‘মসুল বাঁধ পুরোপুরি তাদের নিয়ন্ত্রণে৷ টাইগ্রিস নদীর উপর নির্মিত ঐ বাঁধ দখলে ১৪ দফা বিমান হামলা চালায় মার্কিন সেনাবাহিনী৷ এছাড়া হাডিথা এলাকায় অন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বাঁধ দখলের চেষ্টা করছে কুর্দি যোদ্ধারা৷ উত্তরাঞ্চলে সংখ্যালঘু ইয়াজিদি, খ্রিস্টান, সাবাক এবং তুর্কমেন সম্প্রদায় অপহরণ ও মৃত্যুভয়ে দিন কাটাচ্ছে বলে জানিয়েছে এএফপি৷

এপিবি/জেডএইচ (এপি, এএফপি, ডিপিএ, রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য