মহাকাশ ঘুরে এলেন স্টার ট্রেকের উইলিয়াম শ্যাটনার
স্টার ট্রেক সিরিজের এই বিখ্যাত অভিনেতা সম্প্রতি পর্যটনের জন্য পাড়ি দিলন মহাকাশে৷ ছবিঘরে থাকছে বিস্তারিত৷
নিউ শেপার্ডের যাত্রী যারা
ব্লু অরিজিন সংস্থার রকেটে চেপে মহাকাশের দিকে রওয়ানা দিলেন চার যাত্রী৷ স্টার ট্রেক সিরিজের অভিনেতা উইলিয়াম শ্যাটনারের সাথে রয়েছেন ব্লু অরিজিন সংস্থার ভাইস প্রেসিডেন্ট অড্রি পাওয়ার্স, প্ল্যানেট ল্যাবসের প্রতিষ্ঠাতা ক্রিস বশুইজেন ও মেডিডেটা সলিউশানস সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা গ্লেন ডে ভ্রিস৷ নিউ শেপার্ড বা এনএস-১৮ রকেটে চেপে তারা উড়ে যান বুধবার৷
রকেটটি যেমন
ছবিতে দেখা যাচ্ছে ব্লু অরিজিনের নিউ শেপার্ড রকেটের প্রতিরূপ৷ টেক্সাসের ভ্যান হর্ন অঞ্চল থেকে এমন রকেটেই উড়লেন ৯০ বছর বয়েসি উইলিয়াম শ্যাটনার ও বাকি তিন যাত্রী৷
রকেটের পেছনে যিনি
এই রকেটটির এটি দ্বিতীয় যাত্রা৷ আমাজন সংস্থার প্রধান জেফ বেজোস, যিনি একাধারে ব্লু অরিজিনেরও পৃষ্ঠপোষক, তিন মাস আগেই এই রকেটে চেপে মহাকাশ ঘুরে আসেন৷ আগামী যাত্রার জন্য ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে টিকিট বিক্রি, যা থেকে ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছেন বেজোস৷ তবে বুধবারের রকেটের টিকিটের দাম জানা না গেলেও শ্যাটনার ছিলেন এই যাত্রায় আমন্ত্রিত অতিথি৷
৯০ বছরে মহাকাশে
উইলিয়াম শ্যাটনার বুধবার মহাকাশের উদ্দেশ্যে উড়ে বিশ্ব রেকর্ড সৃষ্টি করলেন৷ ১০ মিনিট দীর্ঘ এই যাত্রা সম্পন্ন করে শ্যাটনার বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মহাকাশ যাত্রী হলেন৷
সাব-অরবিটাল পর্যটন কী?
সাব-অরবিটাল মহাকাশ যাত্রায় কোনো রকেট পৃথিবীর বায়ুমণ্ডল থেকে বেরিয়ে মহাকাশে ভেসে থাকার বদলে কিছু দূর গিয়ে আবার পৃথিবীর মধ্যাকর্ষণের টানে ফিরে আসে৷ সাধারণ রকেটের মতো তা মহাকাশে ভেসে থাকে না বা নিজের অক্ষপথে থাকে না৷ এই ধরনের রকেট বর্তমানে ব্যবহৃত হচ্ছে স্পেস ট্যুরিজম বা মহাকাশ পর্যটনে, যার আওতায় রয়েছে এনএস-১৮ রকেটটিও৷
যেমন অনুভূতি হলো শ্যাটনারের
দশ মিনিটের এই ট্যুরে শ্যাটনার অনুভব করলেন মহাকাশের মাধ্যাকর্ষণহীন ভেসে থাকার মুহূর্ত৷ উত্তেজিত শ্যাটনার সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘এই অনুভূতি থেকে আমি কোনো দিন বেরোতে চাই না৷ আমি খুব আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছি৷ জীবন আর মৃত্যু যে কতটা আকস্মিক, তা উপলব্ধি করলাম৷ এক কথায় অসাধারণ! সব মানুষের এই দৃশ্য দেখা উচিত৷’’
এসএস/কেএম (রয়টার্স, এপি)