কান পেতে রয়েছে আলমা
২৫ জানুয়ারি ২০১৪শুকনো, ঠাণ্ডা বাতাস বইছে চিলি-র আটাকামা মরুভূমির চাখনান্তোর মালভূমিতে৷ নির্মেঘ আকাশ, প্রখর সূর্য৷ সাগরপৃষ্ঠ থেকে পাঁচ হাজার মিটার উচ্চতায় এক অদ্ভুত পরিবেশ – কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পক্ষে আদর্শ৷
৬৬টি হাই প্রিসিশন অ্যান্টেনা মরুভূমির বালুকণার উপর সার বেঁধে বসানো রয়েছে৷ জ্যোতির্বিদ জানিনি মার্কোনি বলেন, ‘‘এটা মহাকাশ গবেষণার একটা মাইলফলক, কেননা এটাই হল বিশ্বের বৃহত্তম অবজারভেটরি৷''
জ্যোতির্মণ্ডলের এ যাবৎ যে সব ছবি পাওয়া গেছে, ‘আলমা' তার থেকে উন্নততর ছবি দেবে৷ তার কারণ হল, রেডিও অ্যান্টেনাগুলোর এই নেটওয়ার্ক দৃষ্টিগোচর আলোকতরঙ্গ থেকে যে দৈর্ঘের তরঙ্গ পাওয়া যায়, তার থেকে অনেক বেশি দৈর্ঘের তরঙ্গ ধরতে পারে৷ কাজেই ‘আলমা' অপটিকাল কিংবা ইনফ্রারেড টেলিস্কোপের চেয়ে অনেক বেশি নির্ভুল৷
২০০৯ সাল থেকেই আলমা-র প্রথম অ্যান্টেনাগুলো আশ্চর্য সব ছবি দিয়ে যাচ্ছে৷ শীঘ্রই এই অবজারভেটরি বিশ্বব্রহ্মাণ্ড সম্পর্কে আমাদের ধারণাই পুরোপুরি পাল্টে দিতে পারে বলে গবেষকরা মনে করেন৷ মহাশূন্যের উৎস এবং ঐ অসীমে অন্য কোথাও জীবন ও জীব আছে কিনা, মানুষের এই অনন্ত জিজ্ঞাসার উত্তরও হয়তো আলমা একদিন দিতে পারবে!