মহাজোটে গেলে চিড় ধরবে এসপিডি'তে?
১৪ জানুয়ারি ২০১৮মূলত তরুণদের কাছ থেকে এসেছে এই প্রতিবাদ৷ সমাবেশে ‘মহাজোট, না ধন্যবাদ!' শিরোনামে দুই পৃষ্ঠার একটি নথি তুলে ধরা হয় এসপিডির নেতৃবৃন্দের সামনে, যেখানে জার্মান পররাষ্ট্র মন্ত্রী জিগমার গাব্রিয়েলও ছিলেন৷
নথিটিতে আনুষ্ঠানিকভাবে চ্যান্সেলর ম্যার্কেলের সিডিইউ ও তার বাভেরিয়ান সহযোগী সিএসইউর সঙ্গে মিলে মহাজোট সরকার গঠনের বিরোধিতা করা হয়৷
যদিও এসপিডির ২১ জানুয়ারির জাতীয় সমাবেশেই মূল সিদ্ধান্তটি নেয়া হবে, তারপরও আঞ্চলিক এ সমাবেশ থেকেই বার্তা পেয়ে গেছেন দলটির নেতারা৷
গাব্রিয়েল চাইছিলেন, সিডিইউ-সিএসইউ'র সঙ্গে টানা আলোচনার পর প্রাথমিকভাবে ২৮ পৃষ্ঠার যে সমঝোতায় তাঁরা পৌঁছেছিলেন, তার জন্য দলের কর্মীদের সমর্থন আদায় হোক৷ সমাবেশে সবার মাঝে এই সমঝোতার ডকুমেন্টটি বিলিও করা হয়৷ কিন্তু ফেরেন একরাশ হতাশা নিয়ে৷
দলটির তরুণ নেতা অ্যান ফিবিগ বলেন, ‘‘গত সমাবেশে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছিল, তার অনেকগুলোই একেবারে উপেক্ষা করা হয়েছে৷ এই ডকুমেন্ট সমাজে ন্যায়প্রতিষ্ঠায় কোন গুরুত্ব বহন করে না৷''
ফিবিগ একটি লাল গোল ব্যাজমতো পরেছিলেন, যেখানে লেখা ছিল, ‘#নোগ্রোকো', যার অর্থ করলে দাঁড়ায়, ‘কোনো মহাজোট নয়!'
সমাবেশে আসা অন্যরাও তাদের দলের নেতৃবৃন্দের ব্যাপক সমালোচনা করেন৷ তারা বলেন, অভিবাসন ও শরণার্থী বিষয়ে রক্ষণশীল সিএসইউ'র যে অবস্থান, তাতেই সায় দেয়া হয়েছে, যা হতাশাজনক৷
‘‘এ এক সর্বনাশা অভিবাসন রাজনীতি৷ এর মূল্য দেবেন শরণার্থীরা৷'' বলছিলেন স্যাক্সনি রাজ্যের শ্রম মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা৷
পররাষ্ট্রমন্ত্রী গাব্রিয়েল প্রায় এক ঘন্টা বক্তব্য রাখেন৷ সেখানে তিনি এসব অভিযোগের প্রতি সহমর্মিতা জানালেও মোটা দাগে সিদ্ধান্তগুলো ইতিবাচক ফল আনবে সেটিই বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন৷ আলোচনায় এসপিডি দল সিডিইউ-সিএসইউ'র কাছে হার মেনে এসেছে তা মানতে নারাজ তিনি৷
‘‘ডকুমেন্টটিতে নেয়া সিদ্ধান্তগুলো অনেক বিচক্ষণতার সঙ্গে নেয়া হয়েছে৷ এটা ঠিক যে এখানে অনেক সীমাবদ্ধতা ছিল৷ কিন্তু তার মানে এই নয় যে সব খারাপ৷'' বলছিলেন তিনি৷
গাব্রিয়েল বলেন, ‘‘আমরা যদি সবকিছুর বিরোধিতা করি, তাহলে দল হিসেবে কি আমরা আরো শক্তি অর্জন করবো?'' কোনো ধরনের সমঝোতায় না গেলে এসপিডির ভোটাররা তা ভালোভাবে নিতো না বলেই মত তাঁর৷
গাব্রিয়েল বক্তব্যে নানা যুক্তি তুলে ধরলেও তা কানে ঢোকেনি তরুণ নেতাদের কানে৷ দলটির তরুণদের সংগঠন ইউজো'র চেয়ারম্যান কেভিন ক্যুহনার্ট জানিয়েছেন, ২১ তারিখ বনে হতে যাওয়া জাতীয় কংগ্রেসের আগে তিনি পুরো জার্মানি ঘুরবেন, এবং মহাজোটের বিরোধিতা করবেন৷
শুধু কেভিন নন, সামাজিক গণতন্ত্রী দলটির বামপন্থি অংশ এই মহাজোট সরকার গঠনের বিরোধিতা করছে৷ বনের কনফারেন্সের আগের এই এক সপ্তাহ তাঁরা তাঁদের সেই বিরোধিতার পক্ষে সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করবেন৷
সাবিনে কিনকার্ৎজ (জেডএ)