মহালয়াতেও কলকাতাজুড়ে আরজি কর প্রতিবাদ
মহালয়ার আগের রাতে কলকাতা শহর দেখলো বিরাট নাগরিক মিছিল। হলো রাত দখল, ভোর দখল।
নাগরিক সমাজ রাস্তায়
দুর্গাপুজোর বাকি আর এক সপ্তাহ। বুধবার মহালয়া। এই দিনটিকেও প্রতিবাদের প্রতীক হিসেবে চিহ্নিত করলো কলকাতার নাগরিক সমাজ। মঙ্গলবার বিকেল থেকে একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি দেখলো শহর। মিছিল, রাত দখল, ভোর দখল।
মিছিলে লক্ষাধিক মানুষ
এক লক্ষ মানুষ নিয়ে মিছিলের ডাক দিয়েছিল চিকিৎসকদের সংগঠন। সেই কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিল নাগরিক সমাজের ৫০টিরও বেশি সংগঠন। মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত যে মিছিল দেখলো কলকাতা, তাতে সত্যি সত্যিই লক্ষ মানুষের জমায়েত হয়েছিল।
মিছিলের মুখ
প্রতিবারের মতো এদিনের মিছিলেও দেখা যায়নি কোনো রাজনৈতিক সংগঠনের পতাকা। জনতাই এই মিছিলের মুখ। অংশ নিয়েছিলেন সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট মানুষেরা। কিন্তু কেউই মিছিলের মুখ হয়ে ওঠেননি।
তৃণমূল ছেড়ে মিছিলে
আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে সম্প্রতি তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন সাবেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা জহর সরকার। এদিনের মিছিলে স্লোগান দিতে দেখা গেল তাকে।
সেলিম-নওসাদ সিদ্দিকিরও
এদিনের মিছিলে দেখা গেছে বেশ কিছু বাম নেতাকে। সিপিএম-এর রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম যোগ দিয়েছিলেন মিছিলে কিন্তু ছিলেন একেবারের শেষে। ছিলেন আইএসএফ নেতা তথা রাজ্যের বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। কিন্তু তিনিও মিছিলের সামনে আসেননি।
তিলোত্তমার বাবা-মা
আরজি কর কাণ্ডে নির্যাতিতার বাবা-মা এদিনের মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন। মিছিল শেষে তারা জনগণকে ধন্যবাদ জানান তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। বিচার না পাওয়া পর্যন্ত এই প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ার আবেদন জানান তারা।
প্রতিবাদে রিকশা চালকেরা
রিকশা চালকেরাও অংশ নিয়েছিলেন এদিনের প্রতিবাদ মিছিলে। এর আগেও তারা আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে মিছিল করেছেন কলকাতার রাজপথে।
রাত দখলের প্রতিবাদ
মিছিল শেষে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু হয় রাত দখল কর্মসূচি। গান গেয়ে, পথনাটিকা করে, রাস্তায় ছবি এঁকে প্রতিবাদে সামিল হন সাধারণ মানুষ। সারা রাত ধরে চলে প্রতিবাদ।
রাস্তায় নাটক
রাত দখল কর্মসূচিতে রাস্তায় নাটক করছেন শিল্পীরা। রাত পেরিয়ে ভোর হতে চলেছে তখন।
ভোরের ছবি
ভোর চারটেয় শুরু হয়ে যায় মহালয়া। তখনো রাস্তা ছাড়েননি প্রতিবাদীরা। নাগেরবাজার মোড়ে ছবি আঁকা চলছে রাস্তাজুড়ে।
চিকিৎসকদের কর্মবিরতি
মঙ্গলবার দ্বিতীয় দফায় কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এদিনের মিছিল থেকে নাগরিক সমাজ এবং সিনিয়র চিকিৎসকদের একাংশ তাদের কাছে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়ার আবেদন জানান। তাদের বক্তব্য, আন্দোলন চলুক, কিন্তু কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে কাজে ফিরুন জুনিয়র ডাক্তাররা।