মহাশূন্যযানে চীনের নতুন তারকা
১২ জুন ২০১৩ঠিক এক বছর আগে মহাকাশযানের প্রথম নারী নভোচারী পেয়েছিল চীন৷ সেটা ছিল শেনঝু স্পেস ক্যাপসুলের প্রথম মিশন৷ প্রথম মিশনে দেশের প্রথম নারী ‘তাইকোনট' হিসেবে ছিলেন লিউ ইয়াং৷ এক বছর পর, মঙ্গলবার আবার মানুষবাহী নভোযান নিয়ে ছুটে গেল শেনঝু টেন৷ সঙ্গে নিয়ে গেছে তিনজন মানুষ, তিন নভোচারী৷ তিনজনের মধ্যে আছেন চীন সেনাবাহিনীর এক মেজর৷ বাকি দুই সিনিয়র সামরিক কর্মকর্তা মেজর জেনারেল নি হাইশেং এবং কর্নেল ঝাও শিয়াংগুয়াংয়ের চেয়ে অনেক বেশি মনযোগ এখন মেজর ওয়াং ইয়াপিংয়ের দিকে৷ মহাশূন্যযান তো শুধু মহাশূন্যযান নয়, দেশটির জন্য অর্থনীতি আর বিজ্ঞান প্রযুক্তিতে উন্নতি এবং নারী প্রগতির প্রতীক৷ ৩২ বছর বয়সি ওয়াং ইয়াপিং তো নারীই!
কক্ষপথে শেনঝুর ১৫ দিন থাকার কথা৷ সেখানে ইয়াপিংয়ের কাজ হবে ছোট ছেলেমেয়েদের পড়ানো৷ হ্যাঁ, স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের মহাকাশ সম্পর্কে আগ্রহী করে তোলাই হবে তাঁর কাজ৷ এর আগে চারবার নভোচারীসহ মহাকাশযান পাঠিয়েছে চীন৷ প্রথমবার পাঠিয়েছিল ২০০৩ সালে৷ বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল এ দেশের মহাকাশ বিজ্ঞানে ভবিষ্যৎ লক্ষ খুব উচ্চাভিলাষী৷ চাঁদে নভোচারী পাঠানো এবং ২০২০ সালের মধ্যে কক্ষপথে একটি মহাকাশ কেন্দ্র খোলারও পরিকল্পনা রয়েছে চীনের৷
১৫ দিন পর ফ্লাইট কমান্ডার নি হাইশেংয়ের নেতৃত্বে ওয়াং ইয়াপিং যদি হাসিমুখে ফিরতে পারেন তাহলে যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশ বিজ্ঞানে চীনের আরো এগিয়ে যাওয়ার আরেকটি সোপান তৈরি হবে৷ মঙ্গলবার ‘শিনঝু টেন'-এর মহাশুন্যের দিকে ছুটে চলা টেলিভিশনের পর্দায় সরাসরি দেখেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট জি শিনপিং৷ তিন নভোচারীর উদ্দেশ্যে তাঁর কথা, ‘‘চীনের জনগণ আজ আপনাদের নিয়ে গর্বিত৷ আপনারা সফলভাবে ফিরে আসতে পারবেন এ বিশ্বাস আমার আছে৷ আপনাদের সাফল্য কামনা করে সফলভাবে ফিরে আসা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম৷''
এসিবি/এসবি (এপি, এএফপি)