মা ও কন্যা শিশুর শিক্ষা অগ্রাধিকার পাচ্ছে
১২ অক্টোবর ২০১০‘আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশ কমিটি' সম্প্রতি একটি সংবাদ সম্মেলনে একথাই ঘোষণা করলো৷ ১৯৯৫ সালে বেইজিং সম্মেলনে ১৫ অক্টোবরকে ‘আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী দিবস' ঘোষণা করা হয়েছিলো৷ এরপর ২০০৭ সালে জাতিসংঘও এই দিবসটি অনুমোদন করে৷ আর ২০০১ সাল থেকেই নারী অধিকার নিয়ে কাজ করছে, বাংলাদেশের এমন সংস্থাগুলো নিজেরাই ‘আন্তর্জাতিক গ্রামীন নারী পর্যবেক্ষণ বাংলাদেশ কমিটি'র মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করে আসছে৷ এবছর জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে মা ও কন্যা শিশুর শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে বেসরকারি কয়েকটি সংস্থা ও সচেতন সমাজ দেশব্যাপী পালন করতে যাচ্ছে এই দিবসটি৷
বেসরকারি সংস্থা ‘অ্যাডভান্সমেন্ট ফর সোস্যাল ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন'র নির্বাহী পরিচালক শামীমা আক্তার বললেন, ‘‘মূলত গ্রামীন নারীদের বিষয়কে এখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে৷ প্রতিবছরই একটা থিম বের করা হয়৷ জলবায়ুর ক্ষতিকর দিক থেকে বাংলাদেশ একটি প্রধান দেশ৷ আর তাই এ বছর আমরা, ক্লাইমেট অ্যাডাপটেশন কর্মসূচিতে মা ও শিশুদের শিক্ষাকে অগ্রাধিকার দিয়ে দেশব্যাপী প্রচারাভিযানের ওপর জোর দিচ্ছি৷''
জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে বিপর্যয় ঘটবে সেই ক্ষতির শিকার হবে মা ও কন্যা শিশুরা৷ কিন্তু তাদেরকেই খাবার যোগাড় করতে হবে, স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখতে হবে এবং বিশেষ করে দেখাশুনা করতে হবে শিশু ও পরিবারের বয়স্ক সদস্যদের৷ কিন্তু তারা জানেননা কিভাবে এই প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে উঠতে হবে৷ তাই গ্রামীণ নারীদের সমর্থন করার জন্য ধারাবাহিকবভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করার কথাও ভাবছে উদযাপনকারী কমিটি৷ এবছর এই দিবসটি পালনের মধ্যদিয়ে গ্রামীণ নারীদের কৃতিত্ব ও গুরুত্বের কথা তুলে ধরতে চাইছে তারা৷ চাইছে অর্থনীতিতে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান তুলে ধ'রে সাধারণ মানুষদের সচেতন করে তুলতে৷
প্রতিবেদন: জান্নাতুল ফেরদৌস
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক