1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মাই স্কোয়ার লেডি’

এলকে ওপিয়েলকা/এসি১৪ জুন ২০১৪

এ যুগে রোবট দিয়ে করানো হয় না, এমন কাজ নেই৷ কিন্তু একটি অর্কেস্ট্রার সংগীত পরিচালনা? এমনকি শিল্পীদের কণ্ঠস্বর ও সুরের অনুকরণ? এ সবই করতে শিখছে বার্লিনের গবেষকদের সৃষ্ট একটি রোবট, যার নাম ‘মাইওন’৷

https://p.dw.com/p/1CHDO
এই সেই রোবট ‘মাইওন’

অর্কেস্ট্রায় যে সব যন্ত্র বাজছে, তারা উচ্চগ্রামে বাজবে না লঘুগ্রামে বাজবে, বাজনার আওয়াজ কতোটা প্রবল হবে, হাত নেড়ে সে সব বোঝানোর ক্ষমতা কি কোনো রোবটের থাকতে পারে?

‘মাইওন'-এর পরিচালক যে বিজ্ঞানী এবং গবেষক, তিনি হলেন মানফ্রেড হিল্ড৷ আর যাদের সঙ্গে মাইওন-এর কাজ করার কথা, তারা হলেন ‘গব স্কোয়াড' নামধারী শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পী ও সেই সঙ্গে কমিক অপেরার গায়ক-অভিনেতারা৷

রোবট মাইওন একটি নতুন অপেরার মুখ্য চরিত্র হবে৷ সেজন্য সে ইতিমধ্যেই অর্কেস্ট্রার কনডাক্টর, অর্থাৎ পরিচালকের কাজ শিখে নিয়েছে৷ অবশ্য সেটা তার শিক্ষার প্রথম পর্যায় বলা চলে৷ এবার মাইওন-কে শেখানোর চেষ্টা চলেছে, তার আচার-আচরণ কী ভাবে অপেরার নামকরা তারকাদের মতো করতে হবে৷ গবেষক এবং শিল্পীদের কাছে এটাও একটা অজানা অ্যাডভেঞ্চার: কেননা মাইওন-কে শেষমেষ নিজেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, সে যা শিখল, তার কতোটা ঠিক কোথায় এবং কীভাবে প্রয়োগ করা চলে৷

সংগীত পরিচালনায় রোবট

যেমন মাইওন-কে বারকোড দেখালে সে বিভিন্ন ধরনের আচরণ করতে পারে, কিংবা করা শিখতে পারে৷ আসলে মাইওন শেখে একটি বাচ্চা ছেলের মতো৷ তাকে পুতুলনাচের পুতুলের মতো আগে থেকে প্রোগ্রাম করা হচ্ছে না৷ শেষমেষ গবেষক, শিল্পী এবং রোবট, সকলের যৌথ প্রচেষ্টা থেকেই সাফল্য আসবে৷

গবেষকদের পক্ষেও এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ, কেননা মাইওন ল্যাবোরেটরি-তে বন্ধ না থেকে, সরাসরি অপেরায় এসে রিহার্সালে অংশ নিচ্ছে৷

মাইওন অঙ্গসঞ্চালন করতেও শিখছে৷ মানুষের মতো তার অনুভব করার ক্ষমতা নেই বটে৷ কিন্তু গবেষক যখন তার হাতটা তুলে ধরেন, মাইওন তখন তার নিজের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের প্রতিটি কোণ ও তার পরিবর্তন চিনতে পারে, ধরতে পারে৷ মানফ্রেড হিল্ড পুরো প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যা করলেন৷ তিনি বলেন, ‘‘উচ্চগ্রাম কিংবা লঘুগ্রাম শব্দ হলে, কিংবা শব্দের প্রবলতা বাড়লে-কমালে রোবট সেই অনুযায়ী তার বাঁ হাতটা ওঠাবে এবং নামাবে৷ আর পরীক্ষা যদি সফল হয়, তাহলে হয়তো ডান হাত তুলে কিংবা নামিয়ে, কতোটা উচ্চগ্রাম কিংবা লঘুগ্রামের স্বর লাগাতে হবে, সেটাও জানিয়ে দেবে৷ তারপরে শুধু দেখতে হবে, গলা উঠিয়ে কিংবা নামিয়ে রোবটের হাত ওঠানো নামানো যায় কিনা৷''

কিন্তু গবেষকদের কাছে বহু জিনিষ এখনও রহস্যপূর্ণ: যেমন, মাইওন কোন কোন তথ্য নেয় অথবা নেয় না, এবং কোন তথ্যগুলি তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ? হিল্ডের পরিভাষায়, ‘‘তুমি কিছু একটা করলে, রোবটের বোঝা উচিত, সে নিজেও আগে এটা করেছে৷ তাহলে হয়তো সে নিজেই সেই মুভমেন্ট-টা চালিয়ে যেতে পারবে৷ অর্থাৎ সম্ভব অনেক কিছু, কিন্তু সূচনা এখানেই৷''

মাই ফেয়ার লেডি, সেটাও ছিল ভাষাশিক্ষার ব্যাপার৷ তারই অনুকরণে মাইওন-এর নতুন অপেরাটির নাম রাখা হয়েছে: ‘মাই স্কোয়ার লেডি'৷ যার উপজীব্য: মানুষ ও যন্ত্রের সহাবস্থান৷

বিশেষ ঘোষণা: এই সপ্তাহের অন্বেষণ কুইজে অংশ নিতে ক্লিক করুন এখানে

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য