মাইকেল জ্যাকসন কি আত্মহত্যা করেছেন?
৫ জানুয়ারি ২০১১ডেপুটি ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ডেভিড ওয়ালগ্রেন ডাক্তার মারে'র বিরুদ্ধে প্রতিটি চার্জ পড়ে শোনান৷ এই শুনানির পর বিচারক সিদ্ধান্ত নেবেন মারে'কে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোর জন্য যথেষ্ট প্রামাণাদি আছে কি না৷
ডেভিড ওয়ালগ্রেন জানান, মাইকেল জ্যাকসন অসুস্থ হয়ে পড়ার পর ডাক্তার মারে পপ তারকাকে বেশ হাই ডোজের একটি ইনজেকশান দেন, যার নাম প্রপোফল৷ এরপরই তিনি মাইকেল জ্যাকসনকে একা ফেলে চলে যান৷ আশে পাশে কেউ ছিল না৷ মাইকেল জ্যাকসন যখন ঠিকমত নিঃশ্বাস নিতে পারছিলেন না তখন ডাক্তার মারে কোন রকমে সিপিআরের চেষ্টা করেন, প্রয়োজনীয় সাহায্যের জন্য অন্যান্য চিকিৎসকদের দেরি করে ফোন করেন এবং যখন মেডিক্যাল টিম জ্যাকসনের বাড়িতে এসে হাজির হয় ডাক্তার মারে তখন পালিয়ে ছিলেন৷ তাঁর গাড়ি জ্যাকসনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়৷ কিন্তু মারে'কে কোথায় খুঁজে পাওয়া যায়নি৷
এরপর হাসপাতালে মাইকেল জ্যাকসনকে মৃত ঘোষণা করা হয়৷ সেখানে চিকিৎসকরা জানান, মাইকেল জ্যাকসনকে অত্যন্ত কড়া ডোজের একটি সিডেটিভ দেওয়া হয়েছিল ঘুমের জন্য৷ অথচ এটা কোন সিডেটিভ নয়৷ এটা এক ধরণের অ্যানেস্থেসিয়া৷ এটা শুধু হসপাতালেই ব্যবহার করা হয়৷
ডেভিড ওয়ালগ্রেন আরো জানান, ডাক্তার মারে যে সব ওষুধ মাইকেল জ্যাকসনকে দিতেন সেসব ছিল সাধারণ মেডিক্যাল কেয়ার বহির্ভূত৷
আজ মামলার প্রাথমিক শুনানিতে হাজির হয়েছিলেন কেনি অর্টেগা৷ তিনি ছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের ‘দিস ইজ ইট'-এর পরিচালক৷ তিনি আদালতকে বলেন, মাইকেল জ্যাকসন একবার অসুস্থ থাকার কারণে রিহার্সেলে আসতে পারেননি৷ তখন তিনি ডাক্তার মারেকে প্রশ্ন করেন কোন ধরণের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে জ্যাকসনকে, সেগুলো আদৌ মাইকেল জ্যাকসনকে সাহায্য করছে কিনা৷ উত্তরে ডাক্তার মারে বলেছিলেন, ‘সেটা আপনার দেখার বিষয় নয়, আপনি চিকিৎসক নন৷ মাইকেল জ্যাকসনের স্বাস্থ্যের কী হচ্ছে না হচ্ছে সেটা আমার বিষয়, আমি জানি আমি কী করছি৷'
আদালতে প্রথমিক শুনানিতে আরও হাজির হয়েছিলেন মাইকেল জ্যাকসনের মা ক্যাথারিন জ্যাকসন, বোন লা-টয়া জ্যাকসন এবং এক ভাই জ্যাকি জ্যাকসন৷
২০০৯ সালের ২৫শে জুন অ্যানেস্থেসিয়ার ওভারডোজে মাইকেল জ্যাকসন মারা যান৷
প্রতিবেদন: মারিনা জোয়ারদার
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক