মাইকেল জ্যাকসন ‘পেডোফিল’?
২৬ জুন ২০১৬দৃশ্যত মাইকেল জ্যাকসনের কাছে পর্নোগ্রাফি, জীবজন্তুদের উপর নিপীড়ন, স্যাডো-ম্যাসোকিজম আর শিশুদের উপর অত্যাচার সংক্রান্ত মিডিয়ার এক বিশাল সংগ্রহ ছিল৷ এ খবর দিয়েছে রাডার অনলাইন নামের এক এন্টারটেনমেন্ট ম্যাগাজিন৷ ওয়েবসাইটটিতে সান্টা বারবারা কাউন্টি শেরিফ-এর ডিপার্টমেন্টের নথিপত্রের উল্লেখ করা হয়েছে৷ এই সব নথিপত্র নাকি ২০০৫ সালে জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু নিপীড়ন মামলার শুনানিতে পেশ করা হয়েছিল৷ পরে সেই নথিপত্র আর প্রকাশ করা হয়নি৷
পুলিশ বিভাগের এক তদন্তকারী নাকি রাডার অনলাইনকে বলেছেন যে, ‘‘এই নথিপত্র থেকে জ্যাকসনের এক অন্ধকার ও ভীতিকর ছবি ফুটে ওঠে৷....এই সব নথিপত্র জ্যাকসনকে একজন সুনিপুণ, মাদক ও যৌনতায় আসক্ত শিকারি হিসেবে তুলে ধরে, যিনি পশুহত্যার রক্তাক্ত, যৌন উদ্দীপনাময় ছবি ও প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিকৃত যৌন সম্পর্কের ছবি দেখিয়ে শিশুদের নিজের বশে আনতেন৷''
২০০৫ সালের তদন্ত চলার সময় নাকি লিখিত কাগজপত্র, দিনপঞ্জি, ফটো, অডিওটেপ ও ৮০টির বেশি ভিডিও রেকর্ডিং বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল৷ জ্যাকসনের বিরুদ্ধে শিশু নিপীড়নের অভিযোগ এনেছিল গ্যাভিন আর্ভিজো নামের এক ১৩ বছরের কিশোর৷ ১৪ সপ্তাহ ধরে শুনানি চলার পর জ্যাকসনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়৷
জ্যাকসনের এস্টেট ও পরিবার রাডার অনলাইনের রিপোর্টের তীব্র সমালোচনা করেছেন৷ যারা এখনও এভাবে ‘‘নোংরা ইন্টারনেট ক্লিক-এর টোপ ফেলে'' মাইকেলের নাম থেকে পয়সা করার চেষ্টা করছে, তারা ভুলে যাচ্ছে যে জুরি ১৪টি অভিযোগের প্রত্যেকটি অভিযোগে জ্যাকসনকে নির্দোষ সাব্যস্ত করেছিল – জ্যাকসনের এস্টেটের তরফ থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়৷
জ্যাকসনের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামী ২৫শে জুন, তার ঠিক আগেই কেন এই খবর? এছাড়া, এই পরিমাণ সাক্ষ্যপ্রমাণ ২০০৫ সালের মামলায় ব্যবহার করা হয়নি কেন? এ সব প্রশ্ন থেকেই যায়৷
‘কিং অফ পপ’ মাইকেল জ্যাকসন কি সত্যিই ‘পেডোফিল’ ছিলেন? আপনার কী বিশ্বাস? লিখুন নীচের ঘরে৷
কেবিএম/এসি/ডিজি