চার ব্যক্তির শিরশ্ছেদ!
২০ আগস্ট ২০১৪দুই ভাই হাদি এবং আওয়াদ আল-মোতলেকের সঙ্গে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মুফাররাজ এবং আলী আল-ইয়ামিও সম্পর্কে দুই ভাই৷ সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ‘বড় পরিমাণ হাশিশ' মাদক সৌদি আরবে আনার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে৷
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল শিরশ্ছেদের সমালোচনা করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সৌদি আরবে শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ড ব্যবহারের প্রবণতা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাচ্ছে৷
বিবৃতিতে সকল ধরনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা থেকে বিরত থাকতে সৌদি সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে৷ সংগঠনটির দাবি, দুই জোড়া ভাইকে নির্যাতনের মাধ্যমে জোর করে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে জানা গেছে৷
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপির পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছর এখন অবধি ৩২ ব্যক্তির শিরশ্ছেদ করেছে সৌদি সরকার৷ আর অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, শুধুমাত্র গত দু'সপ্তাহে ১৭ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, অর্থাৎ দিনে গড়ে একজনের বেশি মানুষের শিরশ্ছেদ করছে সৌদি আরব৷
মানবাধিকার সংগঠনটি জানায়, সর্বশেষ মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা গত বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে৷ খুব শীঘ্রই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন তারা৷ কিন্তু পরবর্তীতে সৌদি কর্তৃপক্ষ তাদেরকে অ্যামনেস্টির সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে নিষেধ করে৷ এরপরই কোনো এক সময় মৃত্যদণ্ডগুলো কার্যকর করা হয়৷
উল্লেখ্য, গত বছর শিরশ্ছেদের মাধ্যমে ৭৮ ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করে সৌদি আরব৷ ধর্ষণ, হত্যাকাণ্ড, ধর্মত্যাগ, সশস্ত্র লুটপাট এবং মাদক পাচারের মতো অপরাধের ক্ষেত্রে সেদেশে শাস্তি মৃত্যুদণ্ড৷ বলা বাহুল্য, ইসলামিক শরিয়া আইন অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করে সৌদি আরব৷
এআই/ডিজি (এএফপি)