মানব পাচার এক দ্রুততম লাভজনক পেশা
২৮ আগস্ট ২০১০সংঘবদ্ধ অপরাধ চক্রের কাছে দ্রুততম এক লাভজনক পেশা হিসেবে দেখা দিয়েছে মানব পাচার৷ জাতিসংঘ ২৩শে আগস্টকে দাসপ্রথা বিলোপ দিবস হিসেবে ঘোষণা করেছে ঠিকই, কিন্তু মানুষ নিয়ে এই ব্যবসা সারা বিশ্বে চলমান সমস্যা হিসেবে থেকেই যাচ্ছে৷ মাদক এবং অস্ত্র ব্যবসার সঙ্গে তুলনা করলে লক্ষ কোটি ডলারের এই পাচার ব্যবসায় জড়িত অপরাধীদের খুঁজে বের করা আরো কঠিন৷ শ্রমিক হিসেবে জোর করে কাজ করানো এবং যৌন ব্যবসায় নিয়োজিত হতে যাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে, সবসময় তাদের সন্ধানও পাওয়া যাচ্ছে না৷
অভিবাসন সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক সংস্থা, ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন' বা আইওএম-এর হিসেব অনুযায়ী, সাত লাখ থেকে ৪০ লাখ মানুষ প্রতি বছর যার যার জাতীয় সীমান্ত দিয়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে৷ তবে আইওএম-এর মুখপাত্র জঁ ফিলিপ সোজি বলেছেন, এই ব্যবসার সবচেয়ে গোপন যে বিষয়টি, সেটি হচ্ছে কেউই সঠিকভাবে জানে না, সারা বিশ্বে কতো মানুষকে পাচার করা হচ্ছে৷ তিনি বলেন, মানব পাচার - তা যৌন কর্মে বাধ্য করার জন্যেই হোক বা শ্রমিক হিসেবে কাজ করতে বাধ্য করার জন্যেই হোক না কেন, তা বাস্তবিক অর্থে বিশ্বব্যাপী সবারই জানা৷
সোজি বলেন, বিশ্বে এমন কোন অঞ্চল নেই যে অঞ্চল মানব পাচার থেকে মুক্ত৷ লাখ লাখ নারী, পুরুষ, শিশু - যারা আরো ভালো আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থার খোঁজে নিজ দেশ ছেড়ে বের হতে চাইছে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাঁরাই মানব পাচারের শিকার হচ্ছে৷ এটিকে না অভিবাসন বলে, না বলে পাচার৷ তিনি বলেন, এর কারণ হলো - বৈধভাবে অভিবাসনের সুযোগ পায় খুব কম মানুষ৷ তাদেরকে ঝুঁকি নিতে হয়, আর ঝুঁকি নিতে হয় মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে৷ এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দূর্ভাগ্যজনকভাবে যেটা দেখা যায় সেটা হচ্ছে, তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধই এহেন এক পরিস্থিতির শিকার হচ্ছে তারা৷
প্রতিবেদন: ফাহমিদা সুলতানা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ