মানুষের দেহটি মাত্র ৫ হাজার বছরের পুরনো!
১৯৯১ সালে আল্পস পর্বতমালায় একটি মমি পাওয়া যায়৷ মানুষটির জন্ম প্রায় ৫,২৫০ বছর আগে বলে ধারণা করা হচ্ছে৷
কে নেবে?
১৯৯১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর যখন মমিটি পাওয়া যায় তখন সেটি কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে তা নিয়ে ক্ষণিকের জন্য বিবাদ দেখা দিয়েছিল৷ পরে দেখা যায়, অস্ট্রিয়া-ইটালি সীমান্ত থেকে ইটালির দিকে ৯২.৫৬ মিটার ভেতরে মমিটি পাওয়া গেছে৷ ফলে তার মালিকানা পেয়ে যায় ইটালি৷ মমিটি এখন রাখা আছে দক্ষিণ টিরলের প্রত্নতত্ত্ব যাদুঘরে৷
কার দেহ?
মমিটি দেখতে পান দুজন জার্মান পর্যটক৷ তাঁরা প্রথম ভেবেছিলেন হয়ত কয়দিন আগে মারা যাওয়া কোনো ব্যক্তির দেহ এটি৷ আরেকজন তো ভেবে বসেছিলেন, মৃতদেহটি তাঁর হারিয়ে যাওয়া চাচার৷ কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিকরা যখন গবেষণা করে বের করলেন যে, মমিটির বয়স পাঁচ হাজার বছরের বেশি, তখন সারা বিশ্ব চমকে উঠে৷
নাম দেয়া হয় ‘ও্যটৎসি’
মমিটি পাওয়া যায় ও্যটৎসটাল আল্পস এলাকায়৷ সেই থেকে এর নাম দেয়া হয়েছে ও্যটৎসি৷ তার শরীরে ৬১টি ট্যাটু পাওয়া গেছে৷ গবেষকরা বলছেন, ও্যটৎসিকে পেছন থেকে তীর মারা হয়ে থাকতে পারে৷
খাসির মাংস খেয়েছিল
গবেষকরা ও্যটৎসির পাকস্থলিতে থাকা উপাদান পরীক্ষা করে বলেছেন, মারা যাওয়ার আগে তিনি খাসির মাংস ও পাথর যুগে পাওয়া যেতো এমন কোনো শস্যদানা খেয়েছিলেন৷
অসুখে জর্জরিত
এই সময়ে আমরা যে ধরণের অসুখে ভুগি, ও্যটৎসিও সেরকম নানান রোগে আক্রান্ত ছিলেন৷ ল্যাকটোজ সহ্য হতো না তাঁর৷ পাকস্থলিতে ব্যাকটেরিয়া আক্রমণ করেছিল৷ গবেষকরা বলছেন, ও্যটৎসির শরীরে এত রোগ বাসা বেঁধেছিল যে, তীরের আঘাতে মৃত্যু না হলেও হয়ত শিগগিরই তিনি মারা যেতেন৷