মানুষের স্বচ্ছ অঙ্গপ্রত্যঙ্গ তৈরি করলেন গবেষকরা
নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে মানুষের ‘স্বচ্ছ অঙ্গ’ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন গবেষকরা৷ এর মাধ্যমে কিডনিসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গের ত্রি-মাত্রিক প্রিন্ট করার পথ তৈরি করেছেন তাঁরা৷
ল্যাবে তৈরি মগজ
ল্যাবরেটরিতে তৈরি মানুষের মগজ দেখছেন লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটির ‘ইনস্টিটিউট অফ স্ট্রোক অ্যান্ড ডিমেনশিয়া রিসার্চ’এর ড. আলি এরতুর্ক৷ তাঁর দলের এমন আবিষ্কার মানবদেহে অঙ্গ পরিবর্তনের ক্ষেত্রে নতুন আশা দেখাচ্ছে৷
ল্যাবরেটরির ইঁদুর
ল্যাবটেরিতে একটি স্বচ্ছ ইঁদুর দেখছেন গবেষক ড. আলি এরতুর্ক৷ তাঁর নেতৃত্বে লুডভিগ মাক্সিমিলিয়ানস ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এমন একটি দ্রাবক ব্যবহার করেছেন, যেটি এমন স্বচ্ছ মগজ ও কিডনি বানাতে সহায়তা করেছে৷
স্বচ্ছ মগজ
ছবিতে স্বচ্ছ ও সুন্দর একটি মগজ দেখা যাচ্ছে৷ পরবর্তীতে মাইক্রোস্কোপের ভেতরের লেজার দিয়ে রক্তনালী ও সেলসহ অঙ্গটির পরিপূর্ণ কাঠামো দেখতে সক্ষম হয়েছেন বিজ্ঞানীরা৷
কিডনির ছাঁচ
কিডনির জন্য ত্রি-মাত্রিক প্রিন্টের ছাঁচ দেখছেন ল্যাবের একজন কর্মী৷ এই ব্লুপ্রিন্টের মাধ্যমে গবেষকরা অঙ্গের ছাঁচ তৈরি করছেন৷ থ্রি-ডি প্রিন্টারে স্টেম সেল দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছেন তাঁরা, যেটি কালির মতো কাজ করছে৷ এরপর যথাযথ জায়গায় সেটাকে পুশ করার মাধ্যমে অঙ্গটিকে সচল করা হয়েছে৷
অগ্নাশয় তৈরির আশা
আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে বায়ো-প্রিন্টেড অগ্নাশয় তৈরির আশা করছেন ড. আলি এরতুর্কের দল৷ একইসঙ্গে কিডনির পরিপূর্ণতা তাঁরা দিতে চাচ্ছেন ৫-৬ বছরের মধ্যে৷
মানবদেহে ব্যবহার হবে কবে?
বায়ো-প্রিন্টেড বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ মানুষের দেহে সংযুক্ত করা যাবে কিনা, এটি নিয়ে কাজ করছেন গবেষকরা৷ প্রথমে তাঁরা প্রাণীর দেহে এটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাবেন৷ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে যেতে লাগতে পারে ৫ থেকে ১০ বছর৷