মারাদোনা পঞ্চাশে, আজ হৈচৈ, পার্টি
৩০ অক্টোবর ২০১০দিয়েগো মারাদোনা৷ ফুটবলের রাজপুত্র৷ দুবার নিজের দেশে নিয়ে গেছেন বিশ্বকাপ৷ জীবন জুড়ে বিতর্ক, সাফল্য, ব্যর্থতা, আনন্দ, কান্না, মাদক, বিচ্ছেদ আবার সাফল্যের চূড়া থেকে মাটিতে নামা৷ সবই৷ জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক মরাদোনার জীবনের অজানা দিকেদের৷
বাঁ বাহুতে চে গুয়েভারা আর বাঁ পায়ে ফিদেল কাস্ত্রো
মারাদোনার বাঁ বাহুতে আঁকা আছে চে গুয়েভারার টাটু৷ এই টাটু যে বিশ্বজুড়ে তাঁর কত ভক্ত কপি করিয়েছেন তার শেষসীমা নেই৷ এছাড়া আরও টাটু আছে রাজপুত্রের শরীরে৷ বাঁ পায়ে আছেন কিউবার কিংবদন্তী নেতা ফিদেল কাস্ত্রো৷ এর সঙ্গে ভেনেজুয়েলার বর্তমান বামপন্থী প্রেসিডেন্ট উগো চাভেজের একখানা টাটু যেকোন দিন করবেন বলে ঘোষণা করে রেখেছেন মারাদোনা৷ সেটা এই জন্মদিনেও হতে পারে৷ এছাড়াও দুই মেয়ে ডালমা আর জিয়ানিয়ার নাম টাটু করা আছে হাতে৷ আছে নাতি বেঞ্জামিনের নামটাও৷
ক্লাউদিয়ার কোন টাটু নেই
না৷ ক্লাউদিয়ার নামের টাটু নেই৷ তবে ক্লাউদিয়ার সঙ্গে মারাদোনার সেই বাল্যকাল থেকে প্রেম ছিল৷ একেবারে পাশের বাড়ির মেয়ে ছিল ক্লাউদিয়া ভিলাফেনে৷ বহু বছর একসঙ্গে বসবাসের পর রাজধানী বুয়েনাস আইরেসের লুনা পার্কে জাঁকজমক করে বিয়ে৷ এই স্ত্রীর সঙ্গেই দুই মেয়ে মারাদোনার৷ ডালমা আর জিয়ানিয়া৷ পরে অবশ্য ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়৷ এখন জাতীয় দলের ট্রেনিং ক্যাম্পের কাছেই এক বিলাসবহুল বাড়িতে মারাদোনার বসবাস তরুণী বান্ধবী ভেরোনিকা ওজেদার সঙ্গে৷
হীরের দুল আর কুকুরের কামড়
জন্মদিনের হাসিটা হাসতে একটু কষ্টই হবে মারাদোনার আজ৷ কারণ এ বছরের গোড়ার দিকে প্রিয় চীনে সার-পেই কুকুর বেলার কাঁচা ঘুম ভাঙাতে গিয়ে ঠোঁটের পাশে বেলার কামড় খেয়েছিলেন মারাদোনা৷ ফলে খান দশেক সেলাই করতে হয়েছিল৷ সেই ঘা ভালো করে শুকোয়নি এখনও৷ আর মারাদোনার যে পয়া হিরের কানের দুলটা বছর কয়েক আগে টাকার জন্য বেচে দিতে হয়েছিল, সেটা নিলামে ৩৬,৪০০ পাউন্ড দামে কিনে নেওয়া মারাদোনা ফ্যান ফাব্রিজিও মিকোলি বলেছেন, একবার রাজপুত্রের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পেলে দুলটা আবার আসল মালিককেই উপহার দিতে চান তিনি৷
তো, পঞ্চাশে পা দিয়ে মারাদোনা কী দুলটা আবার ফেরত পেয়ে যাবেন?
প্রতিবেদন: সুপ্রিয় বন্দ্যোপাধ্যায়
সম্পাদনা: আরাফাতুল ইসলাম