1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
সমাজইউক্রেন

মারিউপলে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার?

১২ এপ্রিল ২০২২

মারিউপলে রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ। যার জেরে শ্বাসকষ্ট হচ্ছে, হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছে। অ্যামেরিকা এবং যুক্তরাজ্য তদন্ত শুরু করেছে।

https://p.dw.com/p/49o7M
ইউক্রেন
ছবি: Alexander Ermochenko/REUTERS

ইউক্রেনের সাংসদ ইভান্না ক্লিমপুশ দাবি করেছেন, মারিউপলে এক অজানা রাসায়নিকের সন্ধান মিলেছে। বাতাসের সঙ্গে ওই রাসায়নিক মেশার ফলে মানুষের শ্বাস নিতে অসুবিধা হচ্ছে। রীতিমতো শ্বাসকষ্ট হচ্ছে। চলাফেরা করতেও সমস্যা হচ্ছে। রাশিয়া ওই রাসায়নিক ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ উঠছে।

ইউক্রেনের এই দাবির পরে পেন্টাগন জানিয়েছে, তাদের কাছে এবিষয়ে নির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই। তবে আগেই তারা রাশিয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করছে বলে সতর্ক করেছিল। মারিউপলে রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহার হয়েছে কি না, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যআমেরিকা। যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র সচিবও জানিয়েছেন, অন্যদের সঙ্গে তারাও এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে। তার বক্তব্য, রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার হয়ে থাকলে তার সমস্ত দায় ভ্লাদিমির পুটিন এবং তার প্রশাসনকে নিতে হবে।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও সোমবার সন্ধ্যায় দাবি করেছেন, রাশিয়া সম্ভবত রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। তবে নিশ্চিত করে তিনি কিছু বলেননি।

বোরোদিয়াঙ্কায় সাতটি দেহ উদ্ধার

এদিকে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে বোরোদিয়াঙ্কায় সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধারকারীরা গোটা অঞ্চলে তল্লাশি চালাচ্ছে। কারণ এখনো বহু মানুষ নিখোঁজ। বোমার আঘাতে একটি বাড়ি ভেঙে পড়েছিল। তারই ধ্বংসাবশেষ থেকে সাতটি দেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানানো হয়েছে। কিয়েভের শহরতলির বহু জায়গা থেকেই দেহ উদ্ধার হচ্ছে বলে প্রশাসন দাবি করেছে।

দুই-তৃতীয়াংশ শিশু ঘরছাড়া

জাতিসংঘে শিশু সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে কাজ করে ইউনিসেফ। তারা জানিয়েছে, দেশের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ শিশু ঘরছাড়া। ইউক্রেনে সব মিলিয়ে সাত দশমিক পাঁচ মিলিয়ন শিশু আছে। এর মধ্যে প্রায় পাঁচ শতাংশ শিশু দেশের বাইরে বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে বাস করছে। যুদ্ধের ফলে তারা ঘরছাড়া। স্কুল, পড়াশোনা সব বন্ধ তাদের। ইউনিসেফের বক্তব্য, এর মধ্যে বহু শিশু তাদের পরিবার হারিয়েছে। কারও পরিবার আদৌ বেঁচে আছে কি না, তারা জানে না। এক অদ্ভুত আঁধারে বাস করছে ওই শিশুরা।

জাপানের পদক্ষেপ

সাম্প্রতিক পরিস্থিতির দিকে লক্ষ্য রেখে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কড়া অবস্থান নিয়েছে জাপান। ভ্লাদিমির পুটিন-সহ তার গোটা পরিবারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। জাপান জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে রাশিয়ার থেকে কয়লা নেয়া অনেক কমিয়ে দেবে জাপান। রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জাপান।

অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলরের বক্তব্য

সোমবার অস্ট্রিয়ার চ্যান্সেলর রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রায় একঘণ্টা বৈঠক করেছেন। অস্ট্রিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, সেখানে রাশিয়াকে খোলাখুলি নিজের মতামত জানিয়েছেন চ্যান্সেলর।

জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী বেয়ারবক বলেছেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউক্রেনকে আরো অস্ত্র সাহায্য দেওয়া উচিত।

এসজি/জিএইচ (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)