যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ সম্পর্ক প্রসঙ্গে ম্যার্কেল
১৩ জানুয়ারি ২০১৭ম্যার্কেল ব্রাসেলসে গিয়েছিলেন গেন্ট ও লয়ভেন, এই দু'টি নাম-করা বেলজীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ ডক্টর উপাধি গ্রহণ করার জন্য৷ সেই উপলক্ষ্যে ম্যার্কেল তাঁর ভাষণে যা বলেন, ইউরোপীয় বা বিশ্ব রাজনীতির প্রেক্ষিতে তার গুরুত্ব কম নয়৷ বিশেষ করে ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম না করে ম্যার্কেল আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন৷
‘‘আমাদের প্রথাগত অংশীদারদের দৃষ্টিকোণ থেকে – এখানে আমি আমাদের আন্তঃ-অতলান্তিক সম্পর্কের কথাও ভাবছি – ইউরোপীয়দের সঙ্গে (তাদের) ঘনিষ্ঠ সহযোগিতার কোনো চিরন্তন গ্যারান্টি নেই,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ ন্যাটোর প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অনুদান কমানো প্রসঙ্গে ট্রাম্প ইতিপূর্বে যে মন্তব্য করেছেন, দৃশ্যত তার প্রতি ইঙ্গিত করে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘ভবিষ্যতে ইউরোপ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নকে বিশ্বে আরো বেশি দায়িত্ব নিতে শিখতে হবে, বলে আমার দৃঢ় প্রত্যয়৷’’
‘‘ইউরোপ বহু দশকের মধ্যে বৃহত্তম চ্যালেঞ্জগুলির সম্মুখীন,’’ বলেন ম্যার্কেল৷ এক্ষেত্রে তিনি অভিবাসন, সন্ত্রাসবাদী আক্রমণের বর্ধিত আশঙ্কা, সিরিয়ার যুদ্ধ, পূর্ব ইউক্রেনে সহিংসতা এবং আফ্রিকায় দারিদ্র্য ও দুর্ভিক্ষের কথা উল্লেখ করেন৷ এক্ষেত্রে ‘‘আমাদের নিজের এলাকার সমস্যাগুলির সমাধানের জন্য সব সময়ে অপরের উপর নির্ভর করাটা অর্বাচীনতা হবে,’’ যোগ করেন ম্যার্কেল৷
গত সাত দশক ধরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার নিরাপত্তার গ্যারান্টি হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর নির্ভর করে এসেছে৷ গত ডিসেম্বর মাসের একটি ইইউ শীর্ষবৈঠকে নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানোর ব্যাপারে কিছু প্রাথমিক পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷ ইইউ বিদেশে তার সামরিক অভিযানসমূহের অর্থায়ন করে তথাকথিত ‘এথেনা’ পদ্ধতির মাধ্যমে, এছাড়া হেলিকপ্টার, অস্ত্রপ্রণালী ইত্যাদি যৌথভাবে ব্যবহার করার জন্য আলাদা তহবিল আছে – যদিও তার কোনো কিছুই প্রয়োজনের তুলনায় পর্যাপ্ত নয়৷
ব্রেক্সিট ভোট সম্পর্কে ম্যার্কেল বলেন, ‘‘আমাদের এই সিদ্ধান্তকে ইউরোপকে একত্রিত করে রাখার, তার উত্তরোত্তর উন্নতি ঘটানোর ও তার নাগরিকদের আবার পরস্পরের কাছে আনার প্রেরণা হিসেবে দেখতে হবে’’ – যার গুরুত্ব আজ অতীতের চেয়েও বেশি, বলে ম্যার্কেল মন্তব্য করেন৷
এসি/ডিজি (রয়টার্স, এপি, এএফপি)