মার্কিন নির্বাচন ও ভারত
২৫ অক্টোবর ২০১২ভারতের রাজনৈতিক দল এবং শিল্প ও বণিক সঙ্ঘ হিসেব কষা শুরু করেছে, কোন প্রার্থী ভারতের কাছে বেশি কাঙ্খিত, বারাক ওবামা না মিট রমনি? কে সার্বিক দৃষ্টিতে বেশি গ্রহণযোগ্য, ডেমোক্রেট না রিপাবলিকান? কে ভারতের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে? নতুন প্রেসিডেন্টের কাছে নতুন কী প্রত্যাশা, ইত্যাদি৷
ভারতের রাজনৈতিক দলগুলির মোটামুটি ধারণা, ভারতের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সহযোগিতার গুরুত্ব কমে যাবেনা৷ ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান যে দলই আসুক না কেন দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে এক সুস্থ সম্পর্ক বজায় রাখবে নিজের স্বার্থে৷ কংগ্রেস মুখপাত্র মনে করেন, সমতার ভিত্তিতে সম্পর্ক থাকবে৷ কারণ বিশ্বের দুটি বৃহৎ গণতন্ত্র একে অপরকে উপেক্ষা করতে পারেনা৷ পারস্পরিক সহযোগিতায় দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মজবুত হবে৷
বিজেপি মুখপাত্র মনে করেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ওবামা দুদেশের সম্পর্ককে নিয়ে গেছেন একবিংশ শতাব্দিতে৷ ভারতের জন্য ওবামা সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ এবং বিশ্বস্ত৷ তবে রমনির ক্ষেত্রে সেটা প্রযোজ্য হবেনা, তা বলা যায় না৷ যিনিই আসুক, ভারতকে উপেক্ষা অসম্ভব৷
অন্যরা মনে করেন, ২০০৮-২০০৯ সালে ভারত-মার্কিন বেসামরিক পরমাণু চুক্তি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে আনে এক নতুন মোড়৷ নতুন প্রেসিডেন্ট সেই ধারা অব্যাহত রাখবেন ধরে নেয়া যায়৷
এসব সত্বেও গত ২২শে অক্টোবর দুই প্রার্থীর মধ্যে বিদেশ নীতির বিতর্কে কেউ কিন্তু ভারতের নাম উল্লেখ করেন নি৷ যদিও আঞ্চলিক নিরাপত্তার প্রেক্ষিতে আফগান-পাকিস্তান প্রসঙ্গ উঠে আসে৷ দক্ষিণ এশিয়া নীতিতে আফগান যুদ্ধের অবসান সূচিত হবে৷ তার অভিঘাত ছড়িয়ে পড়বে গোটা অঞ্চলে৷
ভারতে মধ্যবিত্ত সমাজের চিন্তা আউটসোর্সিং নিয়ে৷ নতুন প্রেসিডেন্ট তাতে পরিবর্তন আনলে চাকরির বাজারে তার প্রভাব পড়বে৷
প্রতিবেদন: অনিল চট্টোপাধ্যায়, নতুনদিল্লি
সম্পাদনা: জাহিদুল হক