1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মার্কিন সংগীত জগতের অনন্য সংগীতকার জর্জ গার্শউইন

১৪ জুলাই ২০১১

আফ্রো-অ্যামেরিকান চরিত্র নিয়ে গাঁথা প্রথম বিখ্যাত অপেরা ‘পোর্গি অ্যান্ড বেস’ এর সুরকার তিনি৷ ১১ জুলাই ছিল ব্যতিক্রমধর্মী এই মার্কিন সংগীতকারের ৭৪ তম মৃত্যু বার্ষিকী৷

https://p.dw.com/p/11uvd
Composer George Gershwin is shown at the piano in this undated photo. (AP Photo)
১৯৩৭ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন জর্জ গার্শউইনছবি: AP

গার্শউইন ছিলেন সুরকার, পিয়ানো বাদক এবং সংগীত নির্দেশক৷ তাঁর সংগীতকর্ম, ধ্রুপদী শৈলীর সাথে ব্লুজ, জ্যাজ আর আধ্যাত্মিক সংগীতের নিপুণ মিশ্রনে উজ্জ্বল৷ জ্যাজ ও ধ্রুপদী সংগীত জগতের একাধিক প্রজন্মের বহু খ্যাতিমান সংগীত শিল্পী তাঁর সংগীতে প্রভাবিত হয়েছেন৷

১৯৩৭ সালে মাত্র ৩৮ বছর বয়েসে মৃত্যু বরণ করলেও স্বল্প জীবনের ঐ সীমিত সময়ে অসংখ্য সংগীত রচনা করেছেন তিনি৷ জ্যাজ, ব্রডওয়ে মিউজিক্যাল থেকে শুরু করে ধ্রুপদী অপেরা, পিয়ানো ও অর্কেস্ট্রা কনসার্ট রচনা করেন তিনি৷ আর ৩১ সালের পর থেকে চলচ্চিত্র সংগীতের সাথেও জড়িত ছিলেন গার্শউইন৷

জর্জ গার্শউইন এর জন্ম ১৮৯৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্ক এর ব্রুকলিনে, এক সংগীত পরিবারে৷ ১২ বছর বয়স থেকে পিয়ানোয় হাতেখড়ি তাঁর৷ প্রথমে ব্লুজ ও জ্যাজ এবং পরে ইউরোপীয় ধ্রুপদী সংগীতের অনুরাগী হয়ে ওঠেন তিনি৷ ১৬ বছর বয়সে পিয়ানো বাদক হিসেবে কাজ শুরু করেন৷ সে থেকেই সুরকার হিসেবে সংগীত জগতে তাঁর অগ্রযাত্রা৷ তাঁর বেশিরভাগ সংগীতেরই গীতিকার ছিলেন তাঁর ভাই আইরা গার্শউইন৷ ১৯২৪ সালে জ্যাজ সিম্ফনি অ্যালবাম ‘ব়্যাপসডি ইন ব্লু' তাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক খ্যাতি৷

গার্শউইন এর অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগীতকর্ম ‘পোর্গি এন্ড বেস' অপেরা৷ ১৯৩৫ সালে নিউ ইয়র্কে, তাঁর নির্দেশনায় প্রথম মঞ্চায়িত হয় এই অপেরা৷ এতে অংশ গ্রহণ করেন ধ্রুপদি সংগীতে শিক্ষিত আফ্রো-অ্যামেরিকান সংগীত শিল্পীরা৷ সে সময়ের বর্ণ বিভেদ দুষ্ট মার্কিন সমাজের প্রতি এ ছিল এক বিরাট চ্যলেঞ্জ৷ ‘পোর্গি এন্ড বেস' অ্যামেরিকান লোক অপেরা হিসেবে আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করে৷ গ্যার্সউইন এর মৃত্যুর কয়েক দশক পর এই সংগীতকর্ম ধ্রুপদী সংগীত জগতের অনন্য এক অপেরা হিসেবে স্বীকৃতি পায়৷ সমকালীন ধ্রুপদী সংগীত জগতের সেরা শিল্পীরা পরিবেশন করেন জর্জ গার্শউইন এর ‘পোর্গি এন্ড বেস'এর সংগীত৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক