মালদ্বীপে শুরু হচ্ছে দু'দিনব্যাপী সপ্তদশ সার্ক শীর্ষ সম্মেলন
৯ নভেম্বর ২০১১প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ দুপুরে মালদ্বীপের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন৷ আগামীকাল সার্ক শীর্ষ সম্মেলেনে যোগ দেবেন তিনি৷ আর ঐদিনই মালদ্বীপে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে৷ বৈঠকে অন্যান্য দ্বিপাক্ষক বিষয় ছাড়াও, তিস্তার পানিবণ্টন নিয়ে আলোচনার কথা৷ প্রধানমন্ত্রীর শনিবার দেশে ফিরে আসার কথা৷ বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মিজারুল কায়েস বলেছেন, এবার বাংলাদেশ এই সম্মেলনে জলাবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো যাতে একযোগে কাজ করে - তার চেষ্টা করবে৷
এদিকে বাংলাদেশের বিশ্লেষকরা মনে করেন, সার্ককে কার্যকর করার সময় এখনই৷ কারণ দেড়শ' কোটি মানুষের বসবাস সার্কভুক্ত দেশগুলোতে৷ এই অঞ্চলে যেমন সমস্যা আছে, তেমনি আছে সম্ভাবনা৷ তবে সেজন্য সবার আগে এগিয়ে আসতে হবে ভারত ও পাকিস্তানকে৷ আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিশ্লেষক অধ্যাপক ড. ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, ‘‘সার্ক সম্মেলেন শুধু আস্থার সম্পর্ক তৈরিতে সহায়ক হবে - এই কথা বার বার আমরা শুনতে চাইনা৷ আমরা চাই বাস্তবে এর প্রতিফলন৷''
সাবেক কূটনীতিক সমশের মুবিন চৌধুরি অবশ্য এবারের সার্ক শীর্ষ সম্মেলন নিয়ে আশাবাদী৷ তিনি মনে করেন, এবারের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সার্ক দেশগুলোর মধ্যে সত্যিকার অর্থেই সম্প্রীতি সেতুবন্ধন তৈরি হবে৷
উল্লেখ্য আঞ্চলিক সহযোগিতার অঙ্গীকার নিয়ে সার্কের যাত্রা শুরু হয় ১৯৮৫ সালে৷ তখন এর সদস্য ছিল ৭টি রাষ্ট্র - বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকা এবং মালদ্বীপ৷ পরে সদস্য হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় আফগানিস্তান৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা
সম্পাদনা: দেবারতি গুহ