1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

গৃহকর্মীদের জন্য যুগান্তকারী রায়

৩০ জুলাই ২০১৯

কাজের অনুমতি না থাকায় মালয়েশিয়ায় অনেক গৃহকর্মী প্রাপ্য মজুরি পান না৷ অনেক ক্ষেত্রে টাকা চাইতেও পারেন না তাঁরা৷ সে দেশের আদালত এক রায়ে বলেছে, কাগজপত্র না থাকলেও প্রাপ্য মজুরি দাবি করা যাবে৷

https://p.dw.com/p/3Mz3x
Indien Prostitution Sklaverei
ফাইল ফটোছবি: Imago/UIG

ইন্দোনেশিয়ার এক নারী পাঁচ বছর কাজ করেও কোনো পারিশ্রমিক পাননি৷ এক পর্যায়ে যে বাসায় কাজ করতেন সেখান থেকে পালিয়ে অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংস্থা তেনাগানিতার আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান তিনি৷ কুয়ালালামপুর ভিত্তিক ওই সংস্থার সহায়তায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য প্রথমে শ্রম দপ্তর এবং তারপর শ্রম আদালতে যান৷ কিন্তু কাজের অনুমতি না থাকায় দুই জায়গাতেই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়৷ বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন৷ সোমবার হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, কাগজপত্র না থাকলেও কাউকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷ অভিযোগ শুনতে হবে৷ সুতরাং ইন্দোনেশীয় ওই নারীর দাবি পূরণের জন্য এখন সক্রিয় হতে হবে কর্তৃপক্ষকে৷

রায় ঘোষণার পর তেনাগানিতার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরেন দাস থমাস রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘এই রায় সব কাগজপত্রহীন কর্মীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ এখন থেকে কাগজপত্র নেই এমন সব কর্মীই পাওনা আদায়ের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন৷''

মামলা করা ইন্দোনেশীয় নারীর নাম প্রকাশ করেনি তেনাগানিতা৷ নিয়োগকর্তার কাছে পাঁচ বছরের মজুরি হিসেবে ৩০ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত, অর্থাৎ সাত হাজার ৩০০ ডলার দাবি করেছেন তিনি৷ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পাওনা টাকা পেলে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যেতে চান৷

এসিবি/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য