গৃহকর্মীদের জন্য যুগান্তকারী রায়
৩০ জুলাই ২০১৯ইন্দোনেশিয়ার এক নারী পাঁচ বছর কাজ করেও কোনো পারিশ্রমিক পাননি৷ এক পর্যায়ে যে বাসায় কাজ করতেন সেখান থেকে পালিয়ে অভিবাসীদের অধিকার আদায়ের সংস্থা তেনাগানিতার আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যান তিনি৷ কুয়ালালামপুর ভিত্তিক ওই সংস্থার সহায়তায় পাওনা টাকা আদায়ের জন্য প্রথমে শ্রম দপ্তর এবং তারপর শ্রম আদালতে যান৷ কিন্তু কাজের অনুমতি না থাকায় দুই জায়গাতেই তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়৷ বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আপিল করেছিলেন৷ সোমবার হাইকোর্ট রায়ে বলেছে, কাগজপত্র না থাকলেও কাউকে প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত করা যাবে না৷ অভিযোগ শুনতে হবে৷ সুতরাং ইন্দোনেশীয় ওই নারীর দাবি পূরণের জন্য এখন সক্রিয় হতে হবে কর্তৃপক্ষকে৷
রায় ঘোষণার পর তেনাগানিতার নির্বাহী পরিচালক গ্লোরেন দাস থমাস রয়টার্স ফাউন্ডেশনকে বলেন, ‘‘এই রায় সব কাগজপত্রহীন কর্মীর জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে৷ এখন থেকে কাগজপত্র নেই এমন সব কর্মীই পাওনা আদায়ের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হতে পারবেন৷''
মামলা করা ইন্দোনেশীয় নারীর নাম প্রকাশ করেনি তেনাগানিতা৷ নিয়োগকর্তার কাছে পাঁচ বছরের মজুরি হিসেবে ৩০ হাজার মালয়েশীয় রিঙ্গিত, অর্থাৎ সাত হাজার ৩০০ ডলার দাবি করেছেন তিনি৷ সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, পাওনা টাকা পেলে তিনি ইন্দোনেশিয়ায় ফিরে যেতে চান৷
এসিবি/কেএম (থমসন রয়টার্স ফাউন্ডেশন)