মিরপুরে যৌথ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ, দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ
৩১ অক্টোবর ২০২৪বিক্ষুব্ধ পোশাকশ্রমিকেরা পুলিশের একটি ও সেনাবাহিনীর একটি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন৷ গুলিবিদ্ধ দুই পোশাকশ্রমিক হলেন আল আমিন (১৮) ও ঝুমা আক্তার (১৫)৷ তারা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন৷
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলেছে, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে তৈরি পোশাক কারখানার কয়েকশ' শ্রমিক বিভিন্ন দাবিতে মিরপুর-১৪ নম্বর কচুক্ষেত সড়কে বিক্ষোভ করেন৷ এ সময় তারা সড়ক অবরোধ করেন৷ একপর্যায়ে যৌথ বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়৷ সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত আড়াই ঘণ্টা ধরে সংঘর্ষ চলে৷
সংঘর্ষ মিরপুর ১৪ নম্বর থেকে কচুক্ষেত পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে৷ এ সময় মিরপুর ১৪ নম্বর সড়কের সঙ্গে সংযোগ সড়কগুলোর যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়৷ একপর্যায়ে পুলিশ পোশাক শ্রমিকদের লাঠিপেটা করে৷ বিক্ষুব্ধ শ্রমিকেরা সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি ও পুলিশের একটি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন৷
পুলিশ একপর্যায়ে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও গুলি চালায়৷ এতে দুই পোশাকশ্রমিক গুলিবিদ্ধ হন৷ আল আমিনের দুই কাঁধে ও ঝুমার ডান পায়ের গোড়ালিতে গুলি লাগে৷ বেলা ১১টার দিকে পরিস্থিতি শান্ত হলে ধীরে ধীরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়৷
কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক, সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে৷''
ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা লিমা খানম প্রথম আলোকে বলেন, ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গাড়িতে লাগা আগুন নিভিয়েছে৷
কচুক্ষেত এলাকায় মৌসুমি অ্যান্ড ভুঁইয়া নামে একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী জানান, তিন দিন আগে ওই ভবনের একটি পোশাক কারখানায় এক নারী পোশাকশ্রমিককে মারধর করা হয়৷ এর প্রতিবাদ জানাতে গেলে একজন পুরুষ শ্রমিককেও মারধর করা হয়৷ আজ সকালে শ্রমিকেরা ওই কারখানায় গেলে কারখানা বন্ধ দেখেন৷ এ ঘটনার বিচার দাবিতে ও কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে শ্রমিকেরা বিক্ষোভ করেছেন৷
এপিবি/এসিবি (দৈনিক প্রথম আলো)