1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশরে সহিংসতা

১৪ আগস্ট ২০১৩

মিশরের নিরাপত্তারক্ষীদের অভিযানে অনেক মুরসি সমর্থক নিহত হয়েছে বলে দাবি করছে মুসলিম ব্রাদারহুড৷ অন্যদিকে সরকার বলছে, সংষর্ষে দুজন নিরাপত্তাকর্মী নিহত হয়েছে৷

https://p.dw.com/p/19P3y
ছবি: picture-alliance/dpa

রাজধানী কায়রোর রাবা আল আদিয়া এলাকায় টানা ছয় সপ্তাহ ধরে অবস্থান করছিল মুরসি সমর্থকরা৷ বুধবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় এই সমর্থকদের হঠাতে হেলিকপ্টার, সাঁজোয়া যান ও বুলডোজার নিয়ে অভিযান শুরু করে নিরাপত্তাবাহিনী৷ এ সময় টিয়ারগ্যাস ও ফাঁকা গুলি ছোড়ে তারা৷

এরই মধ্যে মুরসিপন্থিদের দুটি ক্যাম্প থেকে উৎখাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস৷ মুসলিম ব্রাদারহুডের দাবি, উৎখাতের সময় দুপক্ষের সংঘর্ষে অনেক মুরসি সমর্থক নিহত হয়েছে৷ তবে সরকার এ দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলছে, সংঘর্ষে কেবল তাদের দুজন নিরাপত্তা সদস্য নিহত হয়েছে৷

ক্যাম্পে থাকা বেশিরভাগ মানুষকে কাছের ওরমান বোটানিক্যাল গার্ডেন এবং কায়রো বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে৷

Ägypten Proteste Kairo
সংঘর্ষে অনেক মুরসি সমর্থক নিহতও হয়েছেনছবি: Reuters

অন্যদিকে, নাসের সিটির ক্যাম্পগুলো সরানোর জন্য সেদিকেও অভিযান চালিয়েছে সেনাবাহিনী৷ কায়রো এবং নাসের সিটি থেকে অন্তত দুইশ বিক্ষোভকারীকে আটক করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা৷

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়, বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কেবল টিয়ারগ্যাস ব্যবহার করা হচ্ছে, তবে কেউ গুলি ছুড়লে নিরাপত্তাবাহিনীও পাল্টা জবাব দিতে বাধ্য হবে৷ কেবল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বিক্ষোভকারীদের আটক করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে বলা হয়৷

অভিযানে সেনাবাহিনী অংশ না নিলেও নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে ছিল তারা৷

এই অভিযানের আশঙ্কায় মুরসি সমর্থকরা প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়েছিল৷ তারা তাদের অবস্থানগুলোর চারপাশে বালির বস্তা ও বড় বড় পাথরের স্তূপ জমিয়ে ক্যাম্পগুলোকে প্রায় দুর্গ বানিয়ে ফেলেছিল৷ তবে, শেষ পর্যন্ত এতে কোন কাজ হয়নি৷

চলতি বছরের ৩ জুলাই প্রেসিডেন্ট মুরসি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশরজুড়ে সহিংসতায় এ পর্যন্ত অন্তত আড়াইশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে৷

এপিবি/এসবি (এপি/রয়টার্স)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য