1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মিশর

১০ ডিসেম্বর ২০১২

একদিকে ছাড় দিয়ে অন্যদিকে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট মুরসি৷ আপাতত খানিকটা শান্ত মিশর, তাই আবারো যে কোনো সময় অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কায়৷ বিরোধীরা জানিয়েছে বিক্ষোভ চলবে৷

https://p.dw.com/p/16z9F
Egyptian women took part in the demonstations in front of the presidential palace. Place: El Marghani Street, in front of the Itihadeya presidential palace Copyright: Ahmed Hamdy / Korrespondent der Arabischen Redaktion in Kairo Schlagworte: Ägypten, Frauen, Präsiden Morsi, Präsident Mursi
ছবি: DW/A.Hamdy

গত সপ্তাহে মিশরের পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে হুসনি মুবারক-বিরোধী আন্দোলনের কথাই মনে পড়ছিল সবার৷ সরকার ও বিরোধীদলের সমর্থকদের সংঘের্ষ তখন ছয়জন মারা যায়৷ প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে সেনা মোতায়েন করে, কামান বসিয়ে সাময়িকভাবে সামাল দেয়া হয় পরিস্থিতি৷ তবে শনিবার আশা করা হয়েছিল টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে গিয়ে হয়ত প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুরসি বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে সমঝোতায় গিয়ে শান্তি ফেরানোর কোনো উপায়ের কথা বলবেন৷ মুরসির নেতৃত্বাধীন মুসলিম ব্রাদারহুড সরকারের কাছ থেকে সে রকম আশাই করা হচ্ছিল শুরু থেকে৷

গত জুনে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসা দলটি৷ কিন্তু ২২শে নভেম্বর মুরসি একটি ডিক্রি জারি করায় বিক্ষোভে উন্মাতাল হয়ে ওঠে মিশর৷ ডিক্রির মাধ্যমে মুরসি নিজের ও দলের ক্ষমতা বাড়াতে চাইছেন – এ অভিযোগে বিক্ষোভ শুরু করে সরকার বিরোধীরা৷ পরে মিশরের প্রথম গণতান্ত্রিক সরকার নতুন সংবিধানের খসড়া সংসদে অনুমোদন করিয়ে আগুনে যেন ঘি ঢেলে দেয়৷ সংবিধানের খসড়া সব বিরোধী দল এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘু খ্রিষ্টানদের প্রতিনিধিরা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন৷ তাঁদের দাবি, প্রস্তাবিত সংবিধান ‘অগণতান্ত্রিক' এবং সেখানে নাগরিকের সব মৌলিক অধিকারের স্বীকৃতি নেই, নারী অধিকারের প্রশ্নটিও সেখানে গুরুত্ব পায়নি৷

Egyptian opposition leaders, including Nobel Prize laureate Mohamed ElBaradei (L), Sameh Ashour (C), and the head of the Lawyers' syndicate and former presidential candidate Amr Moussa (R), raise their fists at the end of a joint press conference on November 22, 2012, in Cairo. Egyptian opposition forces today denounced a declaration by President Mohamed Morsi granting him sweeping powers as a 'coup' and called for nationwide protests. AFP PHOTO / STRINGER (Photo credit should read STRINGER/AFP/Getty Images)
ছবি: AFP/Getty Images

শনিবারের ভাষণে ২২শে নভেম্বরে জারি করা ডিক্রি প্রত্যাহার করে নেন মুরসি৷ তবে সঙ্গে এ-ও জানান, নতুন সংবিধানকে কার্যকর করার জন্য ১৫ই ডিসেম্বর যে গণভোট হবার কথা তা যথারীতি হবে৷ বিরোধী দলগুলোকে এ নিয়ে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছিলেন তিনি৷

মিশরের প্রধান বিরোধী দলগুলো সে আহ্বান প্রত্যাখ্যান করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে৷ সোমবারও প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বাইরে সমবেত হয়েছেন বিক্ষোভকারীরা৷ মঙ্গলবার দেশব্যাপী অবরোধের কর্মসূচিও রয়েছে তাঁদের৷ তবে বিক্ষোভ ঠেকাতে আগের চেয়ে আরো কঠোর অবস্থান নিয়েছেন মুরসি৷ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সেনাবাহিনীকে আরো ভালোভাবে মাঠে নামানো হচ্ছে৷ শুধু পুলিশ নয়, গণভোট শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত সেনাবাহিনীও পারবে যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে৷ সোমবার এক আদেশের মাধ্যমে সেনাবাহিনীকে এ ক্ষমতা দিয়েছেন মুরসি৷ প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এবং সেনাবাহিনীর সূত্র খবরটি নিশ্চিত করেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে৷

এসিবি/ডিজি (ডিপিএ, এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য