মিশরে 'মি-টু' মামলায় আট বছরের জেল
১২ এপ্রিল ২০২১আহমেদ বাসাম জাকি-র সাত বছর জেল হয়েছে নারীদের হেনস্থা করার জন্য এবং এক বছর কারাদণ্ড হয়েছে মাদক রাখার অভিযোগে।
সংবাদসংস্থা এপি আদালতের নথি দেখে জানাচ্ছে, জাকি যাদের হেনস্থা করেছিল, তাদের কয়েকজন সেসময় নাবালিকা ছিল।
গত বছর সামাজিক মাধ্যমে জাকি-র বিরুদ্ধে একাধিক নারী অভিযোগ করেন। তাদের মধ্যে অনেকে স্কুলে তার সহপাঠী ছিলেন। কেউ কায়রোয় বিশ্ববিদ্যালয়ে একসঙ্গে পড়েছিলেন।
গত ডিসেম্বরে দুই জন নারীকে হেনস্থা করার দায়ে আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিল। গতবছর ৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরার মুখে সে স্বীকার করে একজন নাবালিকা সহ ছয়জন নারীর হেনস্থা সে করেছে। অভিযোগ হলো, মেয়েদের আকর্ষণ করার জন্য জাকি নয়টা অনলাইন গ্রুপ তৈরি করেছিল।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সে প্রথমে মেয়েদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতো। তারপর ঘনিষ্ঠ অবস্থার ছবি তুলতো এবং সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল শুরু করতো। এভাবেই সে মেয়েদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করত।
নাদিম আশরাফ ইনস্টাগ্রামে 'অ্যাসল্ট পুলিশ' বলে একটা গ্রুপ তৈরি করেছেন। সেখানে মেয়েরা তাদের উপর নিগ্রহের কথা জানাতে পারে। নাদিম জানিয়েছেন, তারা আদালতের রায়ে খুব খুশি। তারা এই মামলা নিয়েও অনেক লড়াই করেছেন। তার ইনস্টাগ্রাম গ্রুপেই ২০১৪ সালে কায়রোর হোটেলে ১৮ বছরের এক নারীকে মাদক খাইয়ে অ়জ্ঞান করে লাগাতার ধর্ষণ করা ও তার ভিডিও তুলে রাখার ঘটনা ফাঁস করা হয়।
২০১৩ সালের জাতিসংঘের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, মিশরে ৯৯ দশমিক তিন শতাংশ নারী জানিয়েছিলেন, তারা নিগ্রহের শিকার।
জিএইচ/এসজি(এপি, এএফপি, রয়টার্স)