বিপ্লবের ছবি
৩ সেপ্টেম্বর ২০১২অভিনেতা আমর ওয়াকেদ এই ছবি সম্পর্কে বলেন, ‘‘আমরা অত্যন্ত অনিশ্চিত পরিস্থিতির মধ্যে ছবিটির জন্য কাজ করেছিলাম৷ বিপ্লব তখন পুরোদস্তুর চলছে, সবদিকে বিশৃঙ্খল অবস্থা, মানুষের ভিড় ছিল সর্বত্র৷ কিন্তু আমরা এই ঘটনা থেকেই উৎসাহ পেয়েছিলাম৷ বিপ্লব থেকে পাওয়া সৃষ্টিশীল শক্তি আমাদেরকে সাহস জুগিয়েছে৷''
২০১০ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি৷ সেদেশের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের পদত্যাগের মাত্র একদিন আগের এই দিনটিতে তাহরির চত্বরে শুটিং শুরু করে ছবিটির নির্মাতা দল৷ তাহরির চত্বর ছিল মিশরের স্বৈরশাসক হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কেন্দ্রবিন্দু৷ তাই ‘উইন্টার অফ ডিসকন্টেন্ট' ছবির শুরুর দৃশ্যগুলোর জন্য সেটাই ছিল উপযুক্ত জায়গা৷
ভেনিসে গত ২৯শে আগস্ট থেকে শুরু হওয়া চলচ্চিত্র উৎসব চলবে ৮ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত৷ এই উৎসবে ছবিটির মহরত অনুষ্ঠিত হচ্ছে৷ ছবিতে ফারাহ ইউসূফ একজন টিভি সাংবাদিক হিসেবে অভিনয় করেছেন৷ মিশরের সরকার নিয়ন্ত্রিত গণমাধ্যমের কড়া বিধিনিষেধ অতিক্রমের চেষ্টা করেন এই সাংবাদিক৷ আমর নামক একজন রাজনৈতিক কর্মীর বান্ধবী তিনি৷
মিশরের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে নির্মিত এই ফিচার ফিল্মে একপর্যায়ে বন্দি হন আমর৷ বন্দি অবস্থায় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় ঘটে এক রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তার, যিনি কিনা দেশের প্রতি তথাকথিত ভালোবাসার কারণে সেদেশের সাধারণ নাগরিকদেরকে নির্যাতন করতে দ্বিধা করেন না৷ এভাবেই এগিয়ে যায় ছবির কাহিনি৷
ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করায় এই ছবি আন্তর্জাতিক নজর কুড়িয়েছে, সেকথা স্বীকার করলেন অভিনেতা সালেহ আল হানাফি৷ মিশরের গণ বিপ্লবের পর সেদেশের চলচ্চিত্র ক্ষেত্রেও নতুন করে জেগে উঠেছে, মনে করেন ৪০ বছর বয়সি এই আল হানাফি৷
প্রতিবেদন: ক্রিস্টিন ইয়ানকোভেস্কি / এআই
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন