মিশরের শতাব্দীর সবচেয়ে বড় আবিষ্কার
মিশরের লুক্সরে সম্প্রতি একসাথে ৩০টি মমি আবিস্কার হয়েছে৷ কারুকাজ করা কাঠের কফিনে সংরক্ষিত মমিগুলো ৩০০০ বছরের পুরনো৷ শিগগিরই সেগুলো পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করে দিবে মিশরের সরকার৷
মাটির নিচে বর্ণিল বাক্স
মিশরের প্রাচীন নগরী লুক্সরের একটি কবর খুঁড়ে এসব কফিনের সন্ধান মিলেছে৷ তারই একটি খুলে দেখছেন প্রত্নতত্ত্ববিদরা৷ এই ঘটনাকে ১৮০০ সালের পরে মানব কফিনের সবচেয়ে বড় আবিষ্কারের ঘটনা হিসেবে দেখা হচ্ছে৷
হাজার বছর ধরে
মোট ৩০টি কফিনের সন্ধান মিলেছে৷ ধর্মগুরু বা যাজক, তাদের পরিবার ও শিশুদের দেহ সেগুলোতে মমি করে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে৷ আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ১০ শতকে তাদের সমাধিস্থ করা হয়৷ ২২ তম ফারাওয়ের রাজত্ব চলছিল তখন৷
পর্যটনে গতি ফিরবে?
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে মিশর তাদের প্রাচীন সভ্যতার বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কারের ঘোষণা দিয়েছে৷ ২০১১ সালে সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ আর ২০১৩ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় ভাটা পড়েছে দেশটির পর্যটন শিল্প৷ এসব আবিষ্কার খাতটিকে আবারও চাঙ্গা করে তুলবে বলে আশা করা হচ্ছে৷
রহস্যের সন্ধানে
কফিনগুলোর ভেতর আর বাহির দুই অংশেই রয়েছে নিপুণ কারুকাজ৷ সেগুলোর অবিকল রং কিংবা স্পষ্ট লিখন এখনও কীভাবে অক্ষত রয়েছে তা নিয়ে বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা৷
শতাব্দি সেরা আবিস্কার
দক্ষিণের শহর লুক্সর মিশরের ইতিহাস আর প্রত্নতত্ত্ববিদদের কাছে গুপ্তধনের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত৷ তাই বলে আল-আসাইফের দুই স্তর বিশিষ্ট কবরে এত বড় আবিস্কার সবার কাছেই ছিল অপ্রত্যাশিত৷ সবশেষ ১৮৯১ সালে একসাথে এমন অনেকগুলো কফিনের সন্ধান মিলেছিল৷
দর্শনার্থীদের জন্য
কফিনগুলোকে ব্যাপক সংস্কারের মাধ্যমে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে৷ তারপর সেগুলোকে পাঠানো হবে গিজাতে অবস্থিত গ্র্যান্ড ইজিপশিয়ান জাদুঘরে৷ ২০২০ সালে সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে৷