মিয়ানমার থেকে আরো ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে
৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘর্ষ বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের সীমান্ত সংলগ্ন রাখাইন রাজ্যে সহিংসতা বেড়ে গেছে৷
বাংলাদেশের শরণার্থী বিষয়ক কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামসুদ্দোজা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘‘আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে আট হাজারের মতো রোহিঙ্গা সীমান্ত পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছেন৷ তাদের অধিকাংশই গত দুইমাসে এসেছেন৷''
‘‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বাড়তি বোঝা বহন করছে এবং আর কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থায় নেই,'' বলেন তিনি৷
গত কয়েকমাসে কতজন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছেন তার সঠিক কোনো তথ্য এর আগে প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ সরকার৷ অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন যে এই সংকট নিয়ে কথা বলতে আগামী দুই তিনদিনের মধ্যেই উপদেষ্টাদের সভায় আলোচনার আয়োজন করা হবে৷
রোহিঙ্গাদের প্রতি সহানুভূতি জানালেও তার সরকারের নতুন করে আরো শরণার্থীকে মানবিক আশ্রয় দেয়ার সামর্থ্য নেই বলে জানিয়েছেন তিনি৷ মোহাম্মদ তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘সীমান্ত পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়া সম্ভব নয়৷'' তবে এরকম অনুপ্রবেশ রুখতে বাড়তি উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি৷
গত ২৫ আগস্ট মিয়ানমারে সামরিক অভিযান থেকে বাঁচতে কয়েক লাখ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে চলে আসার সপ্তম বর্ষপূর্তিতে বিভিন্ন শিবিরে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন রোহিঙ্গা শরণার্থীরা৷ তারা রাখাইনে সহিংসতা বন্ধ করে তাদের ফিরে যাওয়ার পথ নিরাপদ করার আহ্বান জানান৷
২০১৭ সালে রাখাইনে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর ভয়াবহ দমনপীড়নের মুখে পড়েছিলেন৷ জাতিসংঘ সেই ঘটনা গণহত্যার অভিপ্রায়ে ঘটানো হয়েছিল বলে বর্ণনা করেছে৷
সাম্প্রতিক সময়ে সেখানে আবারো সহিংসতার মুখে পড়েছেন রোহিঙ্গারা৷ সেখান থেকে পালিয়ে আসারা বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাদেরকে সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন৷
গতমাসে স্ত্রী এবং সন্তানকে নিয়ে বাংলাদেশের শরণার্থী শিবিরে এক আত্মীয়র ঘরে আশ্রয় নেয়া এক রোহিঙ্গা বলেন, ‘‘আমরা এরকম সঙ্কুচিত স্থানে আত্মীয়দের সঙ্গে আর কতদিন থাকতে পারবো? আমরা সরকারের প্রতি আমাদেরকে আশ্রয় দিতে এবং আমাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিপত্র দিয়ে সহায়তা করতে আহ্বান জানাই৷''
এআই/এসিবি (রয়টার্স)