সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
১৭ জুলাই ২০১৯বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুই বছর আগে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় সেনাপ্রধান মিন অং লায়িংসহ অন্য কর্মকর্তাদের জড়িত থাকার বিশ্বাসযোগ্য প্রমাণ পাওয়া গেছে৷ বাকি তিন সেনা কর্মকর্তা হলেন উপ-সেনাপ্রধান সোয়ে উইন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল থান ও এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল অং অং৷
রোহিঙ্গাদের বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত সৈন্যদের মুক্তির বিষয়টিও বিবৃতিতে উঠে এসেছে৷ সেনাপ্রধান মিন অং লায়িং-এর নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়৷ এই ঘটনা ‘সামরিক বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার অভাবের একটি গুরুতর উদাহরণ' বলে উল্লেখ করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়৷
নিষেধাজ্ঞার কারণে চার কর্মকর্তা ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণে যেতে পারবেন না৷
মিয়ানমারের প্রতিক্রিয়া
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক কর্মকর্তা এরিন মারফি বলছেন, নিষেধাজ্ঞার কারণে সেনা কর্মকর্তারা হয়ত সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত নাও হতে পারেন৷ তবে তাঁদের সন্তান ও নাতি-নাতনিদের মধ্যে যাঁরা যুক্তরাষ্ট্রে ঘুরতে কিংবা পড়াশোনা করতে আগ্রহী ছিলেন, তাঁরা সমস্যায় পড়বেন৷
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জ মিন তুন এই নিষেধাজ্ঞা পুরো সামরিক বাহিনীর উপর একটি আঘাত বলে মন্তব্য করেছেন৷ ‘‘সামরিক বাহিনী যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠান, যা উপর থেকে নীচ পর্যন্ত বিভিন্ন আদেশ দ্বারা পরিচালিত হয়, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নয়, এটা পুরো সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা,'' বলেন তিনি৷
যুক্তরাষ্ট্র গতবছর মিয়ানমারের কয়েকজন জুনিয়র সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল৷
জেডএইচ/কেএম (এএফপি, এপি)