মিয়ানমার সেনার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ইউরোপীয় ইউনিয়নের সংসদ সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফর করছেন৷ সেই প্রতিনিধি দলে আছেন বারবারা লখবিহলার নামের ঐ জার্মান আইনপ্রণেতা৷
ডিপিএ'কে দেয়া সাক্ষাৎকারে গ্রিন পার্টির সদস্য ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির সাবেক মহাসচিব বারবারা বলেন যে, মিয়ানমার মিলিটারির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির মতো যে কোনো সিদ্ধান্তে তিনি সমর্থন দেবেন৷
আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ইইউ'র ফরেন অ্যাফেয়ার্স কাউন্সিলের সভা বসবে৷ সেখানে এ ধরনের নিষেধাজ্ঞার একটি সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে মনে করেন বারবারা৷ তিনি বলেন যে, সাত লাখ রোহিঙ্গা মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে পালিয়েছে৷
‘‘যে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, তাতে একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তাঁরা পরিষ্কারভাবে দেশে ফিরতে চান, যদিও তাঁরা তাঁদের দেশে চরম বৈষম্যের শিকার হয়েছেন৷'' বলছিলেন বারবারা৷ ‘‘কিন্তু তাঁরা নাগরিকত্ব চান৷ নিরাপদে বাঁচতে চান৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘তাঁরা শরণার্থী শিবিরে নিরাপদ বোধ করছেন৷''
প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় মিয়ানমার সরকার জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাকে যুক্ত হতে বাধা দিচ্ছে মিয়ানমার সরকার, যা উচিত হচ্ছে না বলে মনে করেন বারবারা৷ ‘‘তারা যদি মনে করে, জাতিসংঘকে বাদ দিয়ে তারা এসব করবে, তাহলে ভুল করছে৷''
ইইউ প্রতিনিধি দলটি রাখাইনসফর করতে চেয়েছিল৷ কিন্তু তাদের সফর করতে দেয়া হয়নি৷ শুক্রবার দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে তাদের সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে৷ কিন্তু অং সান সু কি তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় দেননি৷ তবে শোনা যাচ্ছে, নিষেধাজ্ঞা শুধু মিয়ানমারের সেনাদের ওপরই করা হবে, জনগণের ওপর নয়৷
জেডএ/এসিবি (ডিপিএ)