‘মিয়ানমারকেই তার অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে হবে’
২৯ অক্টোবর ২০১২জাতিসংঘের হিসাবে মিয়ানমারের জাতিগত দাঙ্গায় এখন গৃহহীনের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার৷ এছাড়া নিহত হয়েছেন অন্তত ৮২ জন, যাঁদের প্রায় সবই রাখাইন প্রদেশের রোহিঙ্গা মুসলমান৷ সেখানে এখন দ্বিতীয় দফা জাতিগত দঙ্গায় নতুন করে উদ্বাস্তু হচ্ছেন রোহিঙ্গারা৷ কিন্তু তাঁরা আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশের কক্সবাজার ও টেকনাফ সীমান্ত দিয়ে প্রবেশের চেষ্টা করে ব্যর্থ হচ্ছেন৷
গত কয়েকদিনে প্রায় তিন হাজার রোহিঙ্গা ৪০টি ট্রলারে করে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করেন৷ কিন্তু নৌ-বাহিনী এবং কোস্টগার্ডের সদস্যরা তাঁদের ঢুকতে দেয়নি৷ এছাড়া ৬০ জন রোহিঙ্গাকে আটক করে ফেরত পাঠানো হয়েছে বলেও জানা গেছে৷ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি আজ ঢাকার বাইরে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জাবাবে বলেছেন, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার মতো অবস্থা বাংলাদেশের নেই৷ মিয়ানমারকেই তাঁদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার সমাধান করতে হবে৷ তিনি বলেন, মিয়ানমার পরিস্থিতির দিকে বাংলাদেশ নজর রাখছে৷
এদিকে, সাবেক কূটনীতিক ফারুক চৌধুরী বলেছেন, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্যোগী হতে হবে৷ নয়তো শেষ পর্যন্ত এই চাপ বাংলাদেশের ওপরই পড়বে৷ তিনি প্রয়োজনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে মিয়ানমার সফরের আহ্বান জানান৷
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উচিত মিয়ানমারের শান্তিতে নোবেল জয়ী নেত্রী অং সান সু চি'র সঙ্গেও যোগাযোগ স্থাপন করা৷
বাংলাদেশের টেকনাফ এবং উখিয়ায় ২টি ক্যাম্পে ৩০ হাজার নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থি আছেন৷ আর বাইরে অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে দু'লাখেরও বেশি৷ দ্বিতীয় দফায় দাঙ্গা শুরু হওয়ার পর টেকনাফ এবং কক্সবাজার সীমান্ত সর্বোচ্চ নজরদারিতে রাখা হয়েছে৷