1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

‘মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার জঘন্য চেষ্টা’

১ ফেব্রুয়ারি ২০২১

মিয়ানমারে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন এক রোহিঙ্গা নেতা৷ অং সান সু চি-কে বন্দি করে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের নিন্দা জানান তিনি৷

https://p.dw.com/p/3ofy9
ছবি: Sakchai Lalit/AP/picture alliance

রোহিঙ্গা নেতা দিল মোহাম্মদ টেলিফোনে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলেন, "আমরা রোহিঙ্গা সম্প্রদায় মিয়ানমারে গণতন্ত্রকে হত্যার এই জঘন্য চেষ্টার নিন্দা জানাই৷ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আমরা আহ্বান জানাই, আপনারা এগিয়ে আসুন, যে কোনো মূল্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করুন৷” 

নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে মিয়ানমারে বেসামরিক সরকার এবং প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর মধ্যে কয়েকদিন ধরে দ্বন্দ্ব ও উত্তেজনার পর সোমবার ভোরে দেশটির নেত্রী অং সান সু চি এবং তার দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী৷ এতে মিয়ানমারের গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়লো এবং অনিশ্চয়তা বাড়লো বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের ভাগ্যেও৷

২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কিছু স্থাপনায় ‘বিদ্রোহীদের' হামলার পর রোহিঙ্গাদের গ্রামে গ্রামে শুরু হয় সেনাবাহিনীর অভিযান৷ যার ফলে গত দুই বছরে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়৷ তাদের কথায় উঠে আসে নির্বিচারে হত্যা, ধর্ষণ, জ্বালাও-পোড়াওয়ের ভয়াবহ বিবরণ, যাকে জাতিগত নির্মূল অভিযান বলেছে জাতিসংঘ৷

২০১৮ সালে জাতিসংঘের স্বাধীন ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গণহারে হত্যা, ধর্ষণ এবং বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে পুরোপুরি নির্মূল করাই ছিল ২০১৭ সালের অগাস্টে রাখাইনে সেনা অভিযানের মূল উদ্দেশ্য৷ ওই অভিযানে অন্তত ১০ হাজার মানুষ নিহত হয় বলে তদন্তকারীদের ধারণা৷ 

আর অং সান সু চির বেসামরিক সরকার ‘বিদ্বেষমূলক প্রচারকে উসকে' দিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ ‘আলামত ধ্বংস' করেছে এবং সেনাবাহিনীর মানবতাবিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধ থেকে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে রক্ষা করতে ‘ব্যর্থ হয়েছে'৷

মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে অহিংস আন্দোলনের জন্য শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান৷ রোহিঙ্গারা তাকে সমর্থন দিয়ে এসেছে৷ কিন্তু সেনাবাহিনীর দমন-পীড়ন নিয়ে তার দীর্ঘ নীরবতায় বিশ্বের সেই আস্থা টলে যায়৷ এক পর্যায়ে সু চি তার অবস্থান স্পষ্ট করতে শুরু করলে তখন তা রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধেই চলে যায়৷

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে দ্য হেগের ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে (আইসিজে) রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে বক্তব্য দিতে তিনি ওই অভিযোগকে ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর'হিসেবে বর্ণনা করেন, যা নিপীড়িত ওই জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে হতাশার জন্ম দেয়৷

এনএস/এসিবি (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)