মিয়ানমারের আদালতে রোহিঙ্গাদের কান্না
২০ ডিসেম্বর ২০১৯৯৩ জনের এ গ্রুপে ২৩ জন শিশুও রয়েছে৷ পাথেইন এলাকার একটি আদালতে তাদের হাজির করা হয়৷ এ সময় আদালতে সাক্ষ্য দেন অভিযোগকারী অভিবাসন কর্মকর্তা৷ অভিযোগ প্রমাণ হলে আটকদের দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে৷
আদালতে রোহিঙ্গাদের আইনজীবী থাজিন মিইন্ট মিয়াত উইন বলেন, ‘‘তারা জানিয়েছেন, ওখানে (রাখাইন প্রদেশ) পরিস্থিতি অনেক খারাপ বলে তারা পালাতে চেয়েছিল৷'' মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেই মূলত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বাস৷
সেনাবাহিনীর অভিযানের পর ২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে পালিয়ে যায়৷ ‘গণহত্যার অভিপ্রায়ে' এই অভিযানে হত্যা ও ধর্ষণ চালানো হয়েছিল বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের তদন্ত দল৷
রাখাইনে এখনো ছয় লাখের কাছাকাছি রোহিঙ্গা বাস করেন৷ স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষাসহ মৌলিক অধিকারগুলোর কোনোটিই ঠিকমতো পান না তারা৷ জাতিসংঘের প্রতিবেদনে এ অবস্থাকে ‘শোচনীয়' বলে উল্লেখ করা হয়েছে৷
আদালতে পরবর্তী শুনানির সময় ধার্য করা হয়েছে ৩ জানুয়ারি৷
এডিকে/এসিবি (রয়টার্স)