1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান
রাজনীতিমিয়ানমার

মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নিন্দায় জাতিসংঘ মহাসচিব

৭ জুন ২০২৪

মিয়ানমারের রাখাইনে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করায় জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বৃহস্পতিবার দেশটির সেনাবাহিনীর সমালোচনা করেছেন৷

https://p.dw.com/p/4gmh8
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস
জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাতের মাঝখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ওপর ‘চলমান এই নিধন' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিবছবি: ZUMA Wire/IMAGO

রাখাইন প্রদেশে গত নভেম্বরে জান্তার ওপর হামলা চালায় আরাকান আর্মি নামের সশস্ত্র দলটি৷ ২০২১ সালে সেনা ক্ষমতা দখল নেবার পর এই প্রথম সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় সংখ্যালঘুদের এই দলটি৷

সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়, যার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশ সীমান্তেও৷ এই অভিযানে অনেক বেসামরিক মানুষ মারা যাওয়ায় গুতেরেস এর নিন্দা জানান৷

তার মুখপাত্র স্টেফানি দুজারিচ গুতেরেসের হয়ে বিবৃতি দেন৷ সেখানে বলা হয়, ‘‘গুতেরেস রাখাইনসহ মিয়ানমারে দেশটির সেনাবাহিনীর সাম্প্রতিক হামলায় অসংখ্য বেসাসরিক মানুষ মারা যাওয়ায় এই হামলার নিন্দা জানান৷''

আরাকান আর্মি বলেছে, তারা দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইন প্রদেশে আরো স্বায়ত্তশাসন চায়৷ এই রাখাইন প্রদেশ রোহিঙ্গাদের আবাসভূমি৷ এদের অধিকাংশ সেনাবাহিনীর অত্যাচারে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ 

মিয়ানমারের গৃহযুদ্ধ ও রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরা

আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাখাইনের রাজধানী সিতোয়ের বিয়ায়েন ফিউ গ্রামে হামলা জানিয়ে কমপক্ষে ৭০ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করেছে জান্তা৷ জান্তা অবশ্য একে ‘প্রপাগাণ্ডা' বলে উড়িয়ে দিয়েছে৷

রাখাইনে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে৷ তাই সংঘাতের খবর নিশ্চিত করার উপায় নেই৷ গুতেরেস জান্তা ও আরাকান আর্মির সংঘাতের মাঝখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ওপর ‘চলমান এই নিধন' বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন৷ 

রোহিঙ্গারা আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে তাদের জোরপূর্বক ঘর থেকে বের করে দেয়া, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া এবং লুটপাটের অভিযোগ করেছেন৷ সেনাবাহিনীও রোহিঙ্গাদের জোর করে আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বাধ্য করছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা৷

মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হামলায় সবশেষ ২০১৭ সালে সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন৷ তারও আগে থেকে বাংলাদেশের কক্সবাজার ও টেকনাফ এলাকায় একাধিক ক্যাম্পে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা বসবাস করতেন৷

 

জেডএ/জেডএইচ (এএফপি)

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য

আরো সংবাদ দেখান