1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

মুক্তিযুদ্ধে জাগরণের হাতিয়ার স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গান

১৬ ডিসেম্বর ২০১০

১৬ই ডিসেম্বর ১৯৭১৷ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের পর এই দিনটিতেই বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা৷ পৃথিবীর বুকে মাথা তুলে দাঁড়ায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ৷

https://p.dw.com/p/Qcrk
Studio, Radio, মুক্তিযুদ্ধ, জাগরণ, হাতিয়ার, স্বাধীন, বাংলা, বেতার, কেন্দ্র, গান, বাংলাদেশ, ডিসেম্বর,
ছবি: DW / Johannes Beck

৭১'এর মুক্তি সংগ্রামে সংগীত মানুষকে দিয়েছে উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা৷ দেখিয়েছে আশার আলো৷ মুক্তিকামী বাঙালির মনোবল অক্ষুন্ন রাখার জন্য বহু সংগীত শিল্পী অক্লান্তভাবে গেয়েছেন জাগরণের গান৷

মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রাণিত করতে ব্রতী হোন নির্ভীক সব সুরকার, সংগীত শিল্পী৷ একের পর এক মুক্তির গান রেকর্ড করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীরা৷ তারই একটি উজ্জ্বল নমুনা -একটি ফুলকে বাঁচা বো বলে যুদ্ধ্ করি৷ কথা গোবিন্দ হালদার৷ সুরকার ও শিল্পী আপেল মাহমুদ৷

পশ্চিমের সংগীত জগতেও ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম নিয়ে রচিত হয়েছে গান, অনুষ্ঠিত হয়েছে কন্সার্ট৷ বিশ্বখ্যাত মার্কিন লোক সংগীত সম্রাজ্ঞী জোয়ান বেইজ এর ‘সং অফ বাংলাদেশ' গানে অসাধারণভাবে ফুটে উঠেছে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞের ছবি, মূর্ত হয়েছে আক্রান্ত বাঙালির বেদনা, দুঃখ, দুর্দশা৷

পণ্ডিত রবি শংকর ও বিটলস গোষ্ঠীর প্রয়াত জর্জ হ্যারিসনের উদ্যোগে ৭১এর আগস্ট মাসে নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে, মুক্তিকামী বাঙালির কাঙ্ক্ষিত অধিকার প্রতিষ্ঠার সমর্থনে অনুষ্ঠিত হয় বিশাল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ'৷ এই কনসার্টে বব ডিলান, এরিক ক্ল্যাপটন, রিংগো স্টার সহ আরো বহু বড়ো মাপের সংগীত তারকা অংশ নেন৷ জর্জ হ্যারিসনের রচিত ও পরিবেশিত গান ‘বাংলাদেশ' আজো স্মৃতিকে নাড়া দেয় গভীরভাবে৷

প্রতিবেদন: মারুফ আহমদ

সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক