মুক্তিযুদ্ধে সংগীত ছিল জাগরণের হাতিয়ার
১৫ ডিসেম্বর ২০১১৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে মুক্তিকামী বাঙালির কাঙ্খিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগীত দিয়েছে উদ্দীপনা, অনুপ্রেরণা৷ দেখিয়েছে আশার আলো৷ যুদ্ধ চলাকালে বাঙালির মনোবল অক্ষুন্ন রাখার জন্য বহু সংগীতশিল্পী অক্লান্তভাবে গেয়েছেন জাগরণের গান৷
নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিধনযজ্ঞের বিরুদ্ধে, মুক্তিকামী বাঙালিকে অনুপ্রাণিত করতে ব্রতী হোন অসংখ্য সংগীত শিল্পী৷ এক দল তরুণ শিল্পী, একটি ট্রাকে করে মুক্তাঞ্চলে প্রবেশ করে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মনোবল চাঙ্গা করতে গেয়ে শোনান বাংলার জয়গান৷
একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, মোরা একটি ভাল ছবির জন্য অস্ত্র ধরি....একের পর এক অসংখ্য মুক্তির গান রেকর্ড করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের নির্ভীক সব সুরকার, সংগীত শিল্পীরা৷ যারা সেই সময় মানুষের অবর্ণনীয় বেদনা ও দুঃখ দুর্দশা ভুলিয়ে দিতে গেয়ে শোনান রক্তিম সুর্যের গান৷
১৬ ডিসেম্বর, বহু রক্তদান, ত্যাগ ও তিতিক্ষার বিনিময়ে মুক্ত হয় বাংলাদেশ৷ ৭১-এর এই দিনটিতেই বাঙালি জাতি ছিনিয়ে আনে তাদের বহু কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা৷ অস্ত্র সমর্পণ করে পাকিস্তানি সেনারা৷ বাংলাদেশের আকাশে বাতাসে ধ্বনিত হয় বিজয়ের গান৷
প্রতিবেদন: মারুফ আহমেদ
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক