মুক্তি'র অপেক্ষায় আল-কোরআন বিরোধী সিনেমা 'ফিত্না'
২৭ মার্চ ২০০৮��নেমাটি'র কোন অংশই এখনো কেউ দেখেনি বা এর কোন সম্প্রচারও হয়নি এখনো৷ তথাপি ১৩ ও ১৪ মার্চ ডাকারে অনুষ্ঠিত ওআইসি সম্মেলনেও এটি ছিলো আলোচনার অন্যতম বিষয়বস্তু৷
মুলত সিনেমার বিষয়ে এই আলোচনা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে৷ একপক্ষ ছবিটির ইসলাম বিরোধী মনোভাবের সমালোচনা করছে৷ অপরপক্ষ সিনেমাটিকে মুক্তি না দেয়াকে বাক স্বাধীনতা'র হরন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চাচ্ছে৷
তবে ফিতনা'য় প্রকৃত অর্থেই যদি আল কোরআন বা ইসলাম বিরোধীতার উদাহরন থাকে, তাহলে তা সারা বিশ্বেই নতুন করে বিশৃংখলতা সৃষ্টি করতে পারে৷ ইতিমধ্যে ভিল্ডার্স ঘোষনা করেছেন যে, আগামী ০১ এপ্রিলের আগেই এই সিনেমাটি ইন্টারনেটে মুক্তি পাবে৷ তথাপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে ওয়েবসাইট তিনি ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন, গত রোববার তা বাতিল করে দিয়েছে মার্কিন সংস্থাটি৷ ঐ সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে যে, এই ছবিটি মুক্তি পেলে ভবিষ্যতে বিশ্বজুড়ে সহিংসতা সৃষ্টি করতে পারে৷ আমাদের নীতি অনুযায়ী সেটা করতে দিতে পারি না৷ ফলত এই মুহুর্তে, ইন্টারনেটে সিনেমাটি প্রকাশ করা দুরুহ হয়ে গেলো ভিল্ডার্স এর জন্য৷
এর আগে ভিল্ডার্স সিনেমাটি মুক্তি দেয়ার জন্য একাধিক টেলিভিশন নেটওয়ার্কের সঙ্গে যোগাযোগ করেন৷ ভিল্ডার্স এর শর্ত ছিলো যে, মুক্তি'র আগে কেউই এই সিনেমা দেখতে পারবে না৷ তবে টেলিভিশন নেটওয়ার্কের কর্তাব্যক্তিরা আগে না দেখে কোন সিনেমা তাদের নেটওয়ার্কে মুক্তি দিতে রাজি নয়৷ আর তাই ভিল্ডার্স এর সেই চেষ্টাও আপাতত ব্যর্থ৷
নেদারল্যান্ডস এর প্রধানমন্ত্রী ইয়ান পেটার বাল্কেন-এন্ডে ও বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন৷ গত ২৯ ফেব্রুয়ারী তিনি বলেন, আমরা স্বাধীনতা এবং সম্মানকে অবশ্যই সমর্থন করছি৷ আমরা বাকস্বাধীনতা'র যেমন নিশ্চয়তা দিচ্ছি, একইভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতারও নিশ্চয়তা দিচ্ছি৷ মুসলমান এবং অন্য সবার ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য হবে৷
বাল্কেন-এন্ডে এই সিনেমা মুক্তি না দেওয়ার জন্য ভিল্ডার্সকে অনুরোধও করেছেন৷ কারন এটি ডাচ নাগরিকদের নিরাপত্তার জন্যও একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দিতে পারে৷
অবশ্য বাল্কেন-এন্ডে'র এই অনুরোধের উত্তরে ভিল্ডার্স বলেন, ক্যাবিনেট ইসলামের কাছে মাথা নত করতে পারে বা আত্বসমর্পনও করতে পারে৷ কিন্তু আমি কখনোই তা করবো না৷ সিনেমাটি অবশ্যই মুক্তি পাবে৷
তবে অনেকেই বলছেন বিষয়টি নিয়ে নিরব থাকাটাই সবচেয়ে মোক্ষম প্রতিক্রিয়া হতে পারে৷ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর তারেক রামাদান এই বিষয়ে বলেন, সিনেমায় যাই থাকুক না কেন, এটা পরিষ্কার যে মুসলমানদের উত্তেজিত করার জন্য এটা তৈরি হয়েছে৷