মুঠোফোনের প্রেমে অন্ধ বর্তমান প্রজন্ম
২২ অক্টোবর ২০১০আবুল হাসানের কথাই ধরুন৷ ব্যস্ত এই তরুণ ব্যবসায়ী সকালে অফিসে যেতে যেতেই পড়ে নেন ই-মেইল৷ ঢাকার ট্রাফিক জ্যামে বসেই ই-মেইলের প্রয়োজনীয় উত্তরও লিখে ফেলেন তিনি৷ এরপর আবুল হাসান সারাদিনের কর্মযজ্ঞের খতিয়ান লিপিবদ্ধ করে নেন মুঠোফোনের ছোট্ট পর্দায়৷ ফলে কখন কোথায় বৈঠক, কোথায় পরিদর্শন- সবই সময়মত জানান দেয় ছোট্ট যন্ত্রটি৷
চলুন পাড়ি দিই মার্কিন মুল্লুকে৷ অভিনেতা ম্যাথিউ ক্যালাহান নয় মাসের বিশ্বভ্রমণে বেরিয়েছেন৷ সফরের শুরু থেকেই তাঁর ল্যাপটপটি বাক্সবন্দি৷ কারণ ঐ ছোট্ট স্মার্টফোন, আইফোন ৪৷ এই বস্তু বড় আজব, বাসে বসে দুনিয়ার যাবতীয় অনলাইন কাজ সারা যায় সেটিতে৷ ই-মেইল লেখো, নিউজ পড়ো, প্রয়োজনে টিভি দেখো – সবই সম্ভব সেটিতে৷ কষ্ট করে আর ল্যাপটপটি কেন খুলবেন ম্যাথিউ? তাছাড়া যাত্রাপথে ১৫ ইঞ্চি আকারের ল্যাপটপটি চালালে পাশের সিটের আরোহী বিরক্ত হয় বলেও মত তাঁর৷
এভাবে দুনিয়ার সব কোণেই জনপ্রিয়তা পাচ্ছে হালের মুঠোফোন৷ শুধু কথা-বলা আর বার্তা প্রেরণ নয়, ইন্টারনেট, টেলিভিশনের যাবতীয় কাজও এখন সারা যায় ছোট্ট যন্ত্রটিতে৷ সেপ্টেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চালিত এক জরিপে দেখা যাচ্ছে, ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সি ৩৭ শতাংশ অ্যামেরিকানই ইন্টারনেট ব্যবহার করেন মুঠোফোনে৷ এদের মধ্যে আবার ১৫ শতাংশ ভিডিও বা টিভি দেখেন মুঠোফোনেই৷
যোগাযোগ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান এটিএন্ডটি'র পরিচালক ডন বেন্টনের কথায়, গত ৩ বছরে মুঠোফোনে ডাটা ট্রাফিকের পরিমাণ বেড়েছে ৫,০০০ শতাংশ৷ বর্তমান প্রজন্ম সবকিছুই হাতের তালুতে পেতে চায় বলে মত ব্যান্টনের৷
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বর্তমানে মুঠোফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬ কোটির বেশি৷ মোবাইল সেবাদাতারা এই বিশাল জনগোষ্ঠীকে ইন্টারনেট, এমনকি টিভি সুবিধাও দিতে শুরু করেছে৷ আর এসব সেবা ব্যবহারকারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়৷
প্রতিবেদন: আরাফাতুল ইসলাম
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন