1. কন্টেন্টে যান
  2. মূল মেন্যুতে যান
  3. আরো ডয়চে ভেলে সাইটে যান

অর্থনৈতিক ইউনিয়ন

৬ জুন ২০১২

ইউরো এলাকার সংকট কাটাতে এখন ইউরোপীয় ঐক্য আরও মজবুত করার পরিকল্পনা চলছে বিভিন্ন মহলে৷ কিন্তু শান্ত হতে পারছে না পুঁজিবাজার৷

https://p.dw.com/p/158NF
ছবি: picture-alliance/chromorange

সাহসী পদক্ষেপের পরিকল্পনা

একের পর এক সংকট সামলাতে সামলাতে ইউরোপের নেতারা কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন৷ ছোটখাটো চিকিৎসার বদলে তারা মরিয়া হয়ে বড় আকারের সংস্কারের কথা ভাবছেন৷ অনেকগুলি সমাধানসূত্র নিয়ে আলোচনা চলছে, যার মূলমন্ত্র হলো ‘নিয়ন্ত্রণের বিনিময়ে সাহায্য'৷

যেমন বড় ব্যাংকগুলি ইউরোপীয় স্তরে নিয়ন্ত্রণ মেনে নিলে তাদের আরও মূলধন দেওয়া হবে৷ ইউরোবন্ড'এর ক্ষেত্রেও একই মনোভাব দেখা যাচ্ছে৷ অর্থাৎ ইউরোবন্ড'এর সুরক্ষা পেতে হলে বাজেট ঘাটতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের হাতে তুলে দিতে হবে৷

জার্মানির অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলে আরও বলেছেন, জার্মানিও সেক্ষেত্রে ইউরোবন্ড মেনে নেবে৷ আপাতত ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৫টি দেশ মিলে বাজেট সংক্রান্ত যে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে, সেটি দ্রুত কার্যকর করতে হবে৷ তারপর ইউরোপ জুড়ে ‘আসল ফিসক্যাল ইউনিয়ন' চালু করতে হবে, বলেন শয়েবলে৷ এটা সম্ভব হলে কোনো দেশ বাজেট ঘাটতির উর্দ্ধসীমা লঙ্ঘন করতে পারবে না৷ সংকটও তৈরি হবে না৷ তখন সবাই মিলে ঋণের বোঝা ভাগাভাগি করে নিতে পারবে৷

Deutschland Finanzminister Wolfgang Schäuble zu Finanzkrise und Griechenland
জার্মানির অর্থমন্ত্রী ভল্ফগাং শয়েবলেছবি: Reuters

ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট জোসে মানুয়েল বারোসো দীর্ঘমেয়াদী এই পরিকল্পনার রূপরেখা সম্পর্কে বললেন, ‘‘আমরা পুরোপুরি অর্থনৈতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে আরও পদক্ষেপ সম্পর্কে ভাবনা-চিন্তা করছি৷ এর মাধ্যমে মুদ্রাগত ঐক্যের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হবে৷ এরই অংশ হিসেবে এক ব্যাংকিং ইউনিয়ন গড়ে তোলা যেতে পারে, যার আওতায় একই কর্তৃপক্ষ ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপর নজরদারি চালাবে৷ জমা করা অর্থের উপর গ্যারেন্টিও দেওয়া যেতে পারে৷''

পুঁজিবাজারে অস্থিরতা

সোমবার থেকেই ইউরোপের পুঁজিবাজারে দরপতন চলছে৷ ইউরো'র বিনিময় মূল্যও পড়তির দিকে৷ গ্রিস, আয়ারল্যান্ড ও পর্তুগাল আন্তর্জাতিক বেলআউট'এর উপর নির্ভর করে রয়েছে৷ এর মধ্যে স্পেনের ব্যাংকিং সংকটের কারণে পুঁজিবাজার আরও অস্থির হয়ে পড়েছে৷ ১৭ই জুনের নির্বাচনের পর গ্রিস'কে যদি ইউরো এলাকা ছেড়ে চলে যেতে হয়, তার পরিণতি কী হবে, তাও কারো জানা নেই৷

সাইপ্রাসেরও আন্তর্জাতিক সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে৷ তবে শুধু পুঁজিবাজার নয়, দুশ্চিন্তার আরও কারণ রয়েছে৷ ইউরো এলাকার আর্থিক ও অর্থনৈতিক সংকট ছাড়াও অ্যামেরিকা ও চীনের দুর্বলতার কারণে গোটা পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে উঠেছে৷

স্পেন'কে ঘিরে দুশ্চিন্তা

এই অবস্থায় শিল্পোন্নত দেশগুলির গোষ্ঠী জি-সেভেন অর্থমন্ত্রীরা মঙ্গলবার টেলিফোনে এবিষয়ে আলোচনা করেছেন৷ তাঁরা ইউরোপে ব্যাংকিং সংকট সমাধানের বিষয়টিকেই আপাতত সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন৷ লেনদেন ও ব্যবসা-বাণিজ্যের গতি কমে আসায় বেসরকারি কোম্পানিগুলিও বেকায়দায় পড়ছে৷ কিছু দেশ জার্মানির ভূমিকায় অসন্তুষ্ট৷ বিশেষ করে জার্মানি যেভাবে স্পেন'কে বেলআউট নেওয়ার বিষয়ে চাপ দিচ্ছে, তা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে৷

মঙ্গলবার স্পেন জানিয়েছে, বাজার থেকে তাদের ঋণ পাওয়া ক্রমশ আরও কঠিন হয়ে পড়ছে৷ সেদেশের বাজেট মন্ত্রী বলেছেন, স্পেনের পক্ষে বেলআউট নেওয়া সম্ভব নয়, সেদেশ তা চায়ও না৷ ইউরোপীয় কমিশন অবশ্য এই সংলাপকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে রাজি নয়৷ তাদের বক্তব্য, নিয়মিত আলোচনার কাঠামোর মধ্যেই জি-সেভেন স্তরে এমন আলোচনা হয়ে থাকে৷

প্রতিবেদন: সঞ্জীব বর্মন (রয়টার্স, এএফপি, ডিপিএ)

সম্পাদনা: জাহিদুল হক

স্কিপ নেক্সট সেকশন এই বিষয়ে আরো তথ্য

এই বিষয়ে আরো তথ্য