মুন্সিগঞ্জে লঞ্চডুবি
১৩ মার্চ ২০১২মঙ্গলবার সকাল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত নৌ বাহিনী, কোস্ট গার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে মোট ৩৬টি লাশ উদ্ধার করেন৷ এরপর উদ্ধার অভিযান স্থগিত করা হয়৷ উদ্ধারকারী জাহাজ হামজা রাত ১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর বুধবার ভোরে আবার শুরু হয় উদ্ধার অভিযান৷
এই ঘটনায় নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিআইডব্লিউটিএ এবং সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তর তিনটি কমিটি করেছে৷
এর আগে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, কার্গো জাহাজের ধাক্কায় সোমবার রাতে লঞ্চটি ডুবে যায়৷ এসময় লঞ্চে তিন শতাধিক যাত্রী ছিল৷ বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ডয়চে ভেলেকে টেলিফোনে জানান, তাদের উদ্ধার তৎপরতা শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ তিনি আরও বলেন, কার্গো জাহাজ রাতে চলাচল নিষিদ্ধ করার পরও তাদের চলাচল বন্ধ হয়নি৷ আর কার্গো জাহাজে রাতে চলাচলের কারণেই নৌ দুর্ঘটনা বাড়ছে৷
তিনি বলেন, এর বাইরে অদক্ষ চালকও এই নৌ দুর্ঘটনার কারণ অনেক মালিকই বিআইডব্লিউ'র অনুমোদিত পাইলট নিয়োগ দেন না৷ এছাড়া ফিটনেস বিহীন লঞ্চও দুর্ঘটনায় পড়ে বলে জানান তিনি৷
এদিকে এখনো অনেক মানুষ মেঘনার তীরে তাদের স্বজনদের লাশের অপেক্ষায় আহাজারি করছেন৷
প্রতিবেদন: হারুন উর রশীদ স্বপন, ঢাকা / জাহিদুল হক
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন