মুরসির রাজনৈতিক জীবনের অবসান?
২২ এপ্রিল ২০১৫ইতিমধ্যে এমন শঙ্কা প্রকাশ করেছে তুরস্ক৷ এর আগে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল মুরসির বিরুদ্ধে একতরফা বিচারের সমালোচনা করে৷ যুক্তরাষ্ট্রও এ বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে৷ দেশটি জানিয়েছে, মিশরের সঙ্গে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা চিন্তিত৷ মঙ্গলবার গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত মিশরের প্রথম প্রেসিডেন্ট মুরসিকে সে দেশের আদালত হত্যা মামলায় ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়ার পর থেকেই এসব প্রতিক্রিয়া আসছে৷
২০১২ সালের ডিসেম্বরে তিনজনকে হত্যায় ইন্ধন জোগানোর অভিযোগে আদালত মুরসি ও আরো ১৪ জনকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়৷ ঘটনার সময় মুরসিই ছিলেন মিশরের প্রেসিডেন্ট৷ ক্ষমতায় আরোহনের কয়েক মাসের মধ্যেই তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে দানা বাঁধা বিক্ষোভ তখন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে৷ ২০১২ সালের ৫ ডিসেম্বর কায়রোর প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের সামনে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়৷ সংঘর্ষে তিনজন মারা যায়৷ সেই তিন ব্যক্তির মৃত্যুর জন্যই কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে মুরসিকে৷
মোহাম্মদ মুরসি অবশ্য দু বছর ধরে মুক্ত জীবন যাপনের অধিকার থেকে বঞ্চিত৷ ২০১৩ সালে তাঁকে আটক করে মিশরের সামরিক বাহিনীর প্রধান ফাতাহ আল সিসি৷ তারপর মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুডকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন' হিসেবে ঘোষণা করে সিসির সরকার৷
এসিবি/এসবি (রয়টার্স, এপি, এএফপি, ডিপিএ)