বাংলাদেশে জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়া
২০ জানুয়ারি ২০১৬গত ডিসেম্বরে পুলিশ সদরদপ্তরে দেশের ইসলামি চিন্তাবিদদের সঙ্গে দু'দফা মতবিনিময় করেন বাংলাদেশের পুলিশ প্রধান৷ এই মতবিনিময়ের বিষয় ছিল – ‘জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে আলেম সমাজের করণীয়'৷ বৈঠকে বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, শোলাকিয়ার ইমাম, ইসলামি ফাউন্ডেশনের ডিজিসহ দুই শতাধিক আলেম, মসজিদের ইমাম এবং ইসলামি চিন্তাবিদ অংশ নেন৷ সেই আলোচনার পর এবার কাজে নেমেছেন আলেমরা৷
শোলাকিয়ার ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের নেতৃত্বে জঙ্গিবাদবিরোধী ফতোয়া নিয়ে কাজ হচ্ছে৷ তিনি ডয়চে ভেলেকে জানান, ‘‘ফতোয়া প্রস্তুত করে এখন তাতে এক লাখ আলেমের অনুমোদন নেয়ার কাজ চলছে৷ এরইমধ্যে ২০ হাজারের মতো আলেমের সই নেয়া হয়েছে৷ সবাই অনুমোদন করলে এই ফতোয়া প্রচারের জন্য সরকারকে দেয়া হবে৷ পাঠানো হবে দেশের বাইরেও৷''
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ জানান, ‘‘ফতোয়ার মূল বিষয় হলো ইসলামের নামে হত্যা বা আক্রমণ ইসলাম সমর্থন করে না৷ ইসলামে জঙ্গিবাদের কোনো জায়গা নেই৷''
তাঁর মতে, ‘‘শুধু আইন করে শাস্তি দিয়ে জঙ্গি দমন সম্ভব নয়৷ মুসলমানদের চেতনায় ঢুকিয়ে দিতে হবে যে, ইসলাম জঙ্গিবাদবিরোধী৷ এ নিয়ে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তুলতে হবে৷''
অন্যদিকে ইসলামিক ফাউন্ডেশন মসজিদে জুমার নামাজের খুতবা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নিয়েছে৷ খুতবায় যাতে এমন কিছু না থাকে, যা জঙ্গিবাদকে উৎসাহিত করে৷ এ জন্য মসজিদ কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে৷ তাছাড়া মসজিদ কমিটিতে কারা আছেন, সে বিষয়েও তথ্য নেয়া হচ্ছে৷ এ নিয়ে জানতে চাইলে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ডিজি সামিম মোহাম্মদ আফজাল ডয়চে ভেলের কাছে এই উদ্যোগের সত্যতা স্বীকার করেন৷ তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিস্তারিত বলতে পারেননি তিনি৷
মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ বলেন, ‘‘মসজিদের ইমামদের খুতবা নিয়ন্ত্রণ নয়, খুতবায় জঙ্গিবাদবিরোধী বয়ানের জন্য তাঁদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে৷''
আপনি কি মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদের সঙ্গে একমত? জানান নীচের ঘরে৷