মেয়েদের বিপদ !
২৭ মে ২০১৬ফেসবুকে পরিচয়৷ তারপর বন্ধুত্ব৷ কয়েকদিন পর দেখা করার আহ্বান৷ দেখা করার পর কার কী হয় সব নিশ্চয়ই জানা যায়না৷ তবে খুব খারাপ সংবাদ প্রায়ই আসে সংবাদ মাধ্যমে৷ কখনো উঠে আসে ধর্ষণের খবর, কখনো অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি, কখনোবা হত্যার খবর৷
যুক্তরাষ্ট্রেও এমন ঘটনা হরহামেশাই ঘটছে৷ তাই এক তরুণ কমবয়সি মেয়ে এবং তাদের বাবা-মা-কে সতর্ক করতে নিয়েছিলেন অভিনব এক উদ্যোগ৷ ছদ্মনামে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুলে বন্ধু করলেন তিন কিশোরীকে৷ তিন বছর ধরে চলল আলাপচারিতা৷ ততদিনে বন্ধুত্ব খুব জমেছে৷ অপ্রাপ্তবয়স্কা তিনজনই্ তরুণটির কথায় মজে যায়৷
তরুণটি বুঝতে পারেন, এখন মেয়ে তিনটিকে বললে তারা শত ঝুঁকি নিয়ে হলেও তার সঙ্গে দেখা করবে৷ এই পর্যায়ে মেয়ে তিনটির বাবা-মায়ের সঙ্গেও তিনি কথা বলেন৷ তিনজনের বাবা-মা-কেই বলেন, ‘‘আপনাদের সন্তানের এখন সহজে বিপদে পড়ার বয়স৷ কিছু বিষয়ে ওদের এখনই সচেতন ও সতর্ক হওয়া দরকার৷ আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে ওদের এখন যে কোনো জায়গায় যে কোনো সময় ডেকে নিয়ে হয়তো বড় কোনো বিপদ ঘটিয়ে দিতো৷''
তিনজনের বাবা-মা-ই বিষয়টি বিশ্বাস করতে চাননি৷ বিশ্বাস করতে চাননি, তাঁদের সন্তানদের ডাকলেই সবার চোখ ফাঁকি দিয়ে তারা জীবনে কোনোদিন না দেখা একজনের সঙ্গে দেখা করার জন্য অস্থির হয়ে উঠবে৷ কিন্তু তরুণটি তিন মেয়ের বাবা-মায়েদের সামনেই বিষয়টি প্রমাণ করে দিলেন৷ একটি মেয়ে দিনের বেলা অজ্ঞাত স্থানে দেখা করতে রাজি হয়ে যথাসময়ে সেখানে চলে গেল৷ একজন গভীর রাতে বাড়ি থেকে বের হতে গেল৷ আরেকজন রাতেই বেরিয়ে পড়ল ফেসবুক বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে৷
প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সন্তানের অপরিণত বুদ্ধির আবেগজনিত বোকামি দেখে বিস্মিত এবং ক্ষুব্ধ হলেন বাবা-মা৷ তারপর সন্তানদের বোঝালেন, ‘‘ফেসবুক খুব বিপজ্জনক জায়গা৷ বিপদ থেকে দূরে থাকতে সবসময় সতর্ক থাকো৷ এমন ভুল করোনা যে ভুলের মাশুল তোমাকে-আমাকে চিরকাল দিতে হবে৷''
২০১৫ সালের ১০ আগস্ট ইউটিউবে পোস্ট করা হয়েছিল ভিডিওটি৷ গত এক বছরে ভিডিওটি মোট ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ ৩৯ হাজার ৩৬৯ বার দেখা হয়েছে৷
এসিবি/এসবি