মেয়েদের বিয়ের বয়স হ্রাস
১৩ জুন ২০১৫১৯২৯ সালে প্রণীত আইন অনুযায়ী, বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ সম্পূর্ণ বেআইনি৷ বিয়ের স্বাভাবিক বয়সও নির্ধারণ করা আছে৷ বাংলাদেশে কোনো পুরুষের বয়স ২১ এবং কোনো মেয়ের বয়স ১৮ হওয়ার আগে বিয়ে করলে সেই বিয়ে বাল্যবিবাহ এবং তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ৷ কিন্তু ২০১৪ সালের জুলাই মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক ভাষণে মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে ১৬ করার সম্ভাবনার কথা বললে মানবাধিকার সংস্থাগুলো শঙ্কিত হয়ে পড়ে৷ মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স না কমানোর দাবি উঠছে তখন থেকেই৷
সম্প্রতি বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷ ‘ঘর ভেসে যাওয়ার আগে বিয়ে কর: বাংলাদেশে বাল্যবিবাহ' শিরোনামের প্রতিবেদনটি তৈরি হয়েছে এক হাজারেরও বেশি সাক্ষাৎকারের ভিত্তিতে৷ শুধু বাল্যবিবাহের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদেরই সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে৷ ১০ বছর বয়সে বিয়ে হয়ে যাওয়া মেয়ের সঙ্গেও কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ৷
মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থাকতেই যেখানে ১০ বছর বয়সেও বিয়ে দেয়া হয়, সেখানে ন্যূনতম বয়স ১৬ করলে পরিস্থিতি আরো খারাপ হবে বলেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচের আশঙ্কা৷ এ কারণে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাটির পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে মেয়েদের বিয়ের বয়স না কমানোর আহ্বান জানানো হয়েছে৷
ইউনিসেফ-এর এক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ১৫ বছরের কম বয়সি মেয়েদের বিয়ের হার বাংলাদেশেই সবচেয়ে বেশি৷ বাংলাদেশে শতকরা ২৯ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১৫-র কম বয়সে৷ শতকরা ১১ ভাগ মেয়ের বিয়ে হয় ১১ বছরেরও কম বয়সে!
এসিবি/ডিজি (হিউম্যান রাইটস ওয়াচ)