মোটর সাইকেল চালানো শিখছেন এক সৌদি নারী

জুন মাস থেকে সৌদি আরবের নারীরা যখন গাড়ি চালানো শুরু করবেন, তখন প্রথমদের মধ্যে থাকতে চান মারিয়াম আহমেদ আল-মোয়ালেম৷ তাই তো প্রতিবেশী দেশ বাহরাইনে গিয়ে মোটর সাইকেল চালানোর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন তিনি৷

ছোটবেলায় পাশের বাড়ির ছেলেদের যখন মোটর বাইক চালাতে দেখতেন, তখন থেকেই এই বাহনটির প্রতি মারিয়ামের আগ্রহ জন্মায়৷ তবে জীবদ্দশায় যে তিনি এটি চালাতে পারবেন, সেটি ভাবতে পারেননি৷ তাই এখন সেই সুযোগ পেয়ে দারুণ খুশি তিনি৷

মোটর সাইকেল চালানোর ব্যাপারে এখন পর্যন্ত বন্ধুদের কাছ থেকে ভালো প্রতিক্রিয়া পাচ্ছেন মারিয়াম৷ তাঁর পরিবারও বলেছে, যা করতে তাঁর ভালো লাগে, তা-ই যেন তিনি করেন৷

শুধু মোটর সাইকেল নয়, স্কুবা ডাইভিং আর কারাতের প্রতিও দারুণ আগ্রহ আছে মারিয়ামের৷

মারিয়াম যেখানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সেখানকার এক কর্মকর্তা বলছেন, মধ্যপ্রাচ্যের নারীরা একের পর এক সুযোগ পাচ্ছেন৷ এজন্য দেশগুলোর শাসক, রাজা, বাদশাহ ও প্রিন্সদের ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি৷

পুরুষ সঙ্গীর অনুমতি ছাড়াই এখন ব্যবসা শুরু করতে পারছেন সৌদি নারীরা৷ এছাড়া স্টেডিয়ামে গিয়ে ফুটবল ম্যাচ দেখতে এবং খেলাধুলায় অংশ নিতে পারছেন তাঁরা৷ এসব কারণে সম্প্রতি প্রথম নারী রেস্তোরাঁ মালিক, প্রথম নারী পশু চিকিৎসক, প্রথম নারী ট্যুর গাইড পেয়েছে সৌদি আরব৷

কর্মক্ষেত্রে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোরও পরিকল্পনা করা হয়েছে৷ ২০৩০ সালের মধ্যে মোট জনশক্তির এক তৃতীয়াংশ নারী করতে চায় দেশটি৷ ইতিমধ্যে তামাদার বিনতে ইউসেফ আল-রামাহ নামের এক নারীকে শ্রম ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে৷ রক্ষণশীল দেশটিতে সরকারের এমন উঁচু পদে একজন নারীর নিয়োগ বিরল এক ঘটনা৷