শিশুদের জন্য কি দরকারি?
১০ আগস্ট ২০১৩বাবা-মা'রা নিজেদের আরামের কথা বিবেচনা করেই হোক কিংবা প্রিয় সন্তানের আগ্রহ বা জেদের কারণেই হোক, বাচ্চাদের টিভি, কম্পিউটার বা স্মার্টফোনের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন৷ আর সেই সুযোগে ডেভেলপাররা স্মার্টফোনের জন্য ‘শিক্ষণীয় অ্যাপ' তৈরি করছেন৷ তাদের দাবি, এসব ব্যবহার করলে সন্তানরা আরো স্মার্ট হয়ে উঠবে৷ কিন্তু এর কি কোনো প্রমাণ আছে?
এখন পর্যন্ত উত্তর, নেই৷ বরং উল্টোটাই বলছে ‘অ্যামেরিকান অ্যাকাডেমি অফ পেডিয়াট্রিকস'৷ এক গবেষণার উল্লেখ করে তারা বলছে, শিশুদের ভিডিও দেখালে ‘ল্যাঙ্গুয়েজ ডেভেলপমেন্ট'এ দেরি হতে পারে৷ তারা এই বলে সতর্কও করে দিয়েছে যে, এসব ভিডিও শিশুর ভাল করতে পারে, এমন কোনো কিছু এখনো গবেষণায় পাওয়া যায়নি৷
তাই অভিযোগ
অথচ ‘ফিশার-প্রাইস' ও ‘ওপেন সলিউশন' নামের দুটি ডেভেলপার বাচ্চাদের জন্য কয়েকটি স্মার্টফোন অ্যাপ তৈরি করেছে৷ যুক্তরাষ্ট্রে সেগুলো বেশ জনপ্রিয়ও হয়েছে৷ এসব ব্যবহার করে শিশুরা আনন্দের সঙ্গে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের নাম শিখতে পারে, সংখ্যা গণনা করতে পারে, যুক্তি দেয়া শিখতে পারে বলে বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়৷
কিন্তু ‘দ্য ক্যাম্পেইন ফর এ কমার্শিয়াল-ফ্রি চাইল্ডহুড' বা সিসিএফসি ঐ দুটি ডেভেলপারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে৷ ‘ফেডারেল ট্রেড কমিশন' বরাবর পাঠানো চিঠিতে সিসিএফসি বলছে, ডেভেলপাররা ‘ট্রুথ-ইন-অ্যাডভারটাইজিং' আইন ভঙ্গ করেছে৷ অর্থাৎ তাদের বিজ্ঞাপনে বলা কথাগুলো সত্য নয়, এমন অভিযোগ সিসিএফসি'র৷
পার পায়নি ডিজনির মতো কোম্পানি!
সিসিএফসির অভিযোগের গুরুত্ব আছে৷ কেননা এর আগে তাদের অভিযোগের কারণে জরিমানা দিতে হয়েছে ডিজনির মতো কোম্পানিকেও৷ সেটা ২০০৬ সালের কথা৷ সেসময় সিসিএফসি ডিজনির বিরুদ্ধে ঐ একই আইনভঙ্গের অভিযোগ এনেছিল৷ পরে ডিজনিকে তাদের ভিডিও ক্রেতাদের টাকা ফেরত দিতে হয়েছিল৷ এছাড়া গত বছরই একটি কোম্পানিকে ১৮৫ মিলিয়ন ডলার জরিমানা দিতে বাধ্য করেছিল সিসিএফসি৷ তাদের ‘অপরাধ' ছিল – তাদের তৈরি ডিভিডি ব্যবহার করে নয়মাস বয়সেই নাকি শিশুরা পড়তে শিখে যাবে, এমন দাবি করেছিল কোম্পানিটি!
জেডএইচ / এসবি (এপি)