মোবাইলে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সতর্কবার্তা
২৫ জুন ২০০৯বাংলাদেশ সরকারের এক ঊর্ধ্বতন কর্তা জানিয়েছেন, এখন থেকে বন্যা বা ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত এলাকার লাখ লাখ মানুষ মোবাইলের মাধ্যমে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের আগাম সতর্কবার্তা পাবেন৷ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সম্ভাব্য প্রাণহানি এড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ বলে প্রকাশ৷ এজন্য বাংলাদেশ সরকার দেশটির দুটি শীর্ষ স্থানীয় মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে৷
চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশের বৃহৎ মোবাইল সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ফোন এবং রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিটক এখন থেকে তাদের গ্রাহকদের ঘূর্ণিঝড় বা প্রাকৃতিক দুর্যোগ সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পাঠাবে৷ তবে আপাতত বন্যা উপদ্রুত সিরাজগঞ্জ আর ঘূর্ণিঝড় উপদ্রুত কক্সবাজারে বসবাসরত মোবাইল ব্যবহারকারীরাই এই আগাম সতর্কবার্তার সুযোগ পাবে বলে প্রকাশ৷ বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যুরোর কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফ এই প্রসঙ্গে বলেন, আগামবার্তার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার সুযোগ এবং সময় দেয়া হবে৷
বাংলাদেশে বর্তমানে সাড়ে চারকোটিরও বেশি মানুষ মোবাইল ব্যবহার করে৷ অবশ্য বিশাল এই মোবাইল ব্যবহারকারীর একটি বড় অংশই ফোনসেটটিকে ব্যবহার করছেন শুধুমাত্র কল গ্রহণ বা কল করার জন্য৷ মেসেজ বক্সে গিয়ে মোবাইল বার্তা পড়ার সাধ্যিও অনেকের নেই৷ আর তাই, প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় আগাম সতর্কতার মেসেজ পাঠানো হবে একটু ভিন্ন উপায়ে৷ সৈয়দ আশরাফ জানান, সতর্কবার্তা স্বাভাবিক মেসেজ আকারে গিয়ে কারো ইনবক্সে জমা হবে না, বরং মোবাইল ফোনের মনিটরে অনবরত জ্বলতে থাকবে আগাম সতর্কবার্তা৷ ফলে অতিসাধারণ মোবাইল ব্যবহারকারীরাও বুঝতে পারবে এই বার্তা৷
মোবাইল ফোনের মাধ্যমে এই আগাম সতর্কীকরণ ব্যবস্থা নিয়ে ইতিমধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে৷ বিশেষজ্ঞদের মতে, এরফলে প্রাণহানি কমানোসহ সম্পদের সুরক্ষারও ব্যবস্থা হতে পারে৷ অবশ্য, বাংলাদেশ সরকার বলছে, পরীক্ষামুলকভাবে আগামী ৬ মাস চলবে মোবাইল সতর্কবার্তা প্রকল্প৷ এরপর প্রয়োজনে এই সেবা ছড়িয়ে দেয়া হতে পারে সারাদেশে৷
প্রতিবেদক: আরাফাতুল ইসলাম, সম্পাদনা: আব্দুল্লাহ আল-ফারূক