ইরাকে আইএস-দমন অভিযান
১৭ অক্টোবর ২০১৬তথাকথিত জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট ইরাক ও সিরিয়ায় তাদের দখল করা অনেক এলাকার উপর সম্প্রতি নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে৷ রবিবারই সিরিয়ার উত্তরে দাবিক শহর তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে৷ তবে ইরাকের উত্তরে মোসুল শহর ২০১৪ সালের মাঝামাঝি সময় থেকে তাদের কব্জায় রয়েছে৷ এটাই তাদের নিয়ন্ত্রনাধীন এলাকার সবচেয়ে বড় শহর৷
তবে মোসুল অভিযানকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু সংশয় রয়ে গেছে৷ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে সুন্নি-প্রধান এই শহরকে আইএস-মুক্ত করা সম্ভব হলেও সেখানকার মানুষ ইরাকের শিয়া-প্রধান নেতৃত্বকে মেনে নিতে পারবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ বিশেষ করে ইরাকি সেনাবাহিনীর পাশাপাশি কুর্দি পেশমার্গা বাহিনী ও ইরানের শিয়া মিলিশিয়া বাহিনীও এই অভিযানে অংশ নেওয়ায় মোসুল শহরের মানুষ মুক্তির আনন্দে ভেসে যাবে না, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে৷
কিন্তু ইরাকের প্রধানমন্ত্রী তাদের আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, একমাত্র সেনাবাহিনী ও পুলিশ শহরে প্রবেশ করে ইরাকের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবে৷ রবিবার ইরাকের যুদ্ধবিমান থেকে শহরবাসীর জন্য এই মর্মে ইশতাহারও ছড়ানো হয়৷
এই সামরিক অভিযানের ফলে বড় আকারের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কাও রয়েছে৷ আইএস শহর দখল করার আগে মোসুল শহরের জনসংখ্যা ছিল প্রায় ২০ লক্ষ৷ চলমান সংঘর্ষের ফলে সর্বোচ্চ ১০ লক্ষ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়তে পারেন৷
ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আবাদি তাই জাতিসংঘের শরণার্থী দপ্তরের প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে তার প্রস্তুতি শুরু করেছেন৷ কিন্তু আশেপাশের শরণার্থী শিবিরে মাত্র ৫১,০০০ মানুষের আশ্রয়ের ব্যবস্থা রয়েছে বলে জাতিসংঘ দুশ্চিন্তায় পড়েছে৷
আইএসের বিরুদ্ধে অভিযানে আন্তর্জাতিক জোটের মার্কিন কমান্ডার স্টিফেন টাউন্সএন্ড মনে করছেন, এই সামরিক অভিযান বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে চলবে৷ এই জোটের যুদ্ধবিমান মোসুল অভিযানে ইরাকি বাহিনীর সহায়তা করছে৷ কুর্দি ও মার্কিন বাহিনী স্থল অভিযানেও ইরাকি বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিচ্ছে৷
এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এপি)