‘ম্যারিটাল রেপ’
১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩এই গবেষণার সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমা ফুলু৷ তিনি জাতিসংঘের কয়েকটি সংস্থার উদ্যোগে চালু হওয়া ‘পার্টনার্স ফর প্রিভেনশন' প্রকল্পের একজন বিশেষজ্ঞ গবেষক৷
ডয়চে ভেলের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে তিনি আলোচিত ঐ গবেষণার নানাদিক তুলে ধরেছেন৷ নীচে সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ তুলে ধরা হলো৷
প্রশ্ন: গবেষণায় যে তথ্য বেরিয়ে এসেছে তার পেছনে কী কী কারণ থাকতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
ফুলু: গবেষণার মাধ্যমেই এর উত্তর বেরিয়ে এসেছে৷ যেমন নারী-পুরুষের অসমতা, পুরুষ সহিংসতার সঙ্গে জড়িত হবে সেটা ধরেই নেয়া, শিশু অবস্থায় পুরুষদের সহিংসতার নানান অভিজ্ঞতা হওয়া – এই বিষয়গুলো একজন পুরুষকে তার পরবর্তী জীবেন সহিংস হয়ে উঠতে সহায়তা করে৷
প্রশ্ন: গবেষণায় পাওয়া তথ্যগুলো কতটা প্রতিনিধিত্বশীল এবং বিশ্বাসযোগ্য?
ফুলু: আমার মনে হয় তথ্যগুলো বিশ্বাসযোগ্য৷ কারণ আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে গবেষণা পরিচালিত হয়েছে, যার মাধ্যমে যতটা সম্ভব সঠিক তথ্য বের করার চেষ্টা করা হয়েছে৷ তথ্যের নির্ভুলতা নিশ্চিত করতে ব্যবহৃত হয়েছে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি৷ এছাড়া পুরুষদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য এবং সহিংসতার শিকার হওয়া নারীদের উপর পরিচালিত জরিপের তথ্যের মধ্যে মিল পাওয়া গেছে৷
প্রশ্ন: গবেষণা থেকে কী ধরনের বার্তা পাওয়া গেছে?
ফুলু: সহিংসতা এড়ানো যেতে পারে৷ সহিংসতা ঘটার আগেই সেটার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷ এজন্য সহিংসতার যে কারণগুলো আছে সেগুলো নিয়ে ভাবতে হবে৷ এক্ষেত্রে অল্প বয়সি শিশুদের নিয়ে কাজ করা যেতে পারে৷ কীভাবে একজন ভালো পুরুষ হিসেবে গড়ে ওঠা যায় সে সম্পর্কে তাদের সচেতন করতে হবে৷
প্রশ্ন: সঙ্গী নয় এমন কাউকে ধর্ষণ করার চেয়ে সঙ্গীকে ধর্ষণের প্রবণতাটা বেশি দেখা গেছে৷ এ বিষয়টাকে আপনি কীভাবে দেখছেন?
ফুলু: যে সব দেশে গবেষণা পরিচালিত হয়েছে সেখানে ‘ম্যারিটাল রেপ' অর্থাৎ স্ত্রী বা সঙ্গীর অমতে তাঁর সঙ্গে যৌনসম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার বিষয়টি অপরাধ বলে বিবেচিত হয় না৷ তাই এই ব্যাপারগুলো সেখানে বেশি ঘটছে৷ এসব রোধে ম্যারিটাল রেপ-কে আইনের আওতায় আনার ব্যবস্থা করতে হবে৷
সাক্ষাৎকার: গাব্রিয়েল ডমিনিগেজ / জেডএইচ
সম্পাদনা: সঞ্জীব বর্মন